কাঞ্চন একাডেমিতে ৭০ কোটি টাকায় টেকনিক্যাল সেন্টার হচ্ছে

মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:০৩ | প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:৩৩

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির জায়গায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি, ঢাকাটাইমস ও সাপ্তাহিক ‘এই সময়’ সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন।

শনিবার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপিঠের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দোলন।

আজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা শেষ হয়।

আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডএিমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

সবাজসেবক আরিফুর রহমানকে উদ্দেশ্যে করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমাদের এলাকার উন্নয়নের জন্য আরিফুর রহমানের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। এটা আমাদেরও দাবি। আমরা চাই যে, আরিফুর রহমান সমাজকর্ম, রাজনীতিতে এগিয়ে আসবেন ও এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।’

কাঞ্চন মুন্সীকে স্মরণ করে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘মরহুম কাঞ্চন মুন্সী আমাদের এলাকার লাইট হাউজ। যিনি উৎসাহ-উদ্দীপনার সবচেয়ে বড় মানুষ। যিনি এই এলাকাকে আলোকিত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দোলন উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার প্রতি আমার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। তার নেতৃত্বে এই এলাকার উন্নয়ন দ্রুতগতিতে হবে বলে আমি আশা করি।’

সভাপতির বক্তব্য আরিফুর রহমান বলেন, ‘আজ থেকে ৮০ বছর আগে ১৯৩৭ সালে মরহুম কাঞ্চন মুন্সী এই প্রতিষ্ঠান করেছিলেন। কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির সৃষ্টি না হলে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, জেলা পরিষদের সদস্য শেখ শহীদ কিংবা এ রকম অনেক কৃতি ব্যক্তির সৃষ্টি হতো কি না আমি জানি না। এই কারণে কাঞ্চন মুন্সীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি মনে করি তার প্রতি শুধু কৃতজ্ঞতা জানালেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে না। তিনি যে আলোকিত অঞ্চলের স্বপ্ন দেখেছিলেন তার অসমাপ্ত কাজকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা যেন অগ্রগামী হই সে ব্যাপারে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।’

ঢাকাটাইমস সম্পাদক বলেন, কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির জায়গায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপিত হতে যাচ্ছে। যেখানে শিক্ষা নিয়ে দক্ষতা অর্জনের পর শিক্ষার্থীরা নিজেরাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন। একটি কথা আমাকে বলতেই হচ্ছে, এই প্রতিষ্ঠানটি কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হত না যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী না থাকতেন। আর ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী না থাকতেন।

কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, মূলত এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অদম্য ইচ্ছার কারণেই এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলফাডাঙ্গাকে বিশেষ ভালবাসেন বলেই এই টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে। এ কারণেই এই এলাকার উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার। শুধু এ অঞ্চলের জন্য নয়, সারা দেশের উন্নয়নের জন্য।

পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মামলায় কানাডার আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে আরিফুর রহমান বলেন, ‘সুদখোর ড. ইউনূস বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে অহেতুক দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় ভূমিকা রাখেন। পদ্মা সেতু যাতে না হতে পারে সে বিষয়ে বাধার সৃষ্টি করেছিলেন। তারা আমাদের মঙ্গল চাননি।’

ঢাকাটাইমস সম্পাদক বলেন, ‘যারা দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন তারা চেয়েছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন না হোক। তারা বিরোধিতা না করলে আরও চার বছর আগেই পদ্মা সেতু হয়ে যেতো। যারা আমাদের অকল্যাণ চেয়েছেন তাদের বিরোধিতার কঠোর জবাব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ বিশ্বব্যাংক টাকা না দিলেও নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে- প্রধানমন্ত্রীর এই দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা উল্লেখ করে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘মাওয়া ঘাট দিয়ে যারা আসা-যাওয়া করেন, তারা দেখেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা তার কথা রেখেছেন। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হচ্ছে।’

সাপ্তাহিক ‘এই সময়’-এর প্রধান প্রতিবেদক হাবিবুল্লাহ ফাহাদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ফরিদপুর পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. সাজিদ হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন।

১৯৩৭ সালে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন মরহুম কাঞ্চন মুন্সী। তাঁর হাত ধরেই আলফাডাঙ্গায় প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করে। এছাড়াও মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, দাতব্য চিকিৎসালয়সহ এই অঞ্চলের বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :