মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘সবই আছে নেই স্বাস্থ্যসেবা’

শামীম চৌধুরী, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে
 | প্রকাশিত : ১০ মার্চ ২০১৭, ০৮:২৬

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এখানে নিয়মিত ডাক্তার থাকেন না। নেই কোনো টেকশিয়ানও। পাওয়া যায় না প্রয়োজনীয় ঔষধপত্রও। এখনো ব্যবহার হয়নি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন সংযোগ ভবনটি। এতে অত্যাধুনিক এক্সরে ইসিজিসহ মূল্যবান যন্ত্রাপাতি নষ্ট হচ্ছে। জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রমও রয়েছে বন্ধ।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অনেকটা অকেজো হয়ে পড়ায় গ্রামের লোকজনের বাড়ছে ভোগান্তি। চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের লোকজন।

রোগী সংকুলন না হওয়ায় ২০১০ সালে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে সংযোগ ভবন নির্মাণসহ অত্যাধুনিক মেডিকেল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ২০১১ সালে এই ৫০ শয্যার নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু বাস্তবে আজও চালু করা হয়নি নতুন ভবনটি। উপজেলাবাসীর মন্তব্য মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সবই আছে, তবে নেই কোনো স্বাস্থ্যসেবা।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে মাধবপুরে অবস্থিত ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ভূগোলিক কারণে হবিগঞ্জের লাখাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও বিজয়নগরের রোগীরা প্রতিদিন এখানে সেবা নিতে আসেন। অথচ এখানে নেই কোনো টেকনিশিয়ান। এক্সরে, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাম কোনো ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই।

এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাগজে-কলমে কর্মরত রয়েছেন ১২ জন চিকিৎসক। গাইনি কনসালটেন্ট ডা. আইরিন হক সপ্তাহে দুই একদিন মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখেন। বাকি দিনগুলোতে তাকে পাওয়া যায় না।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়মিত রোগী দেখেন। বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তাকে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন। এরপরও তার অনিয়মিত উপস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এ ব্যাপারে কথা বলতে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জনের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক মামুনের সাথে মোবাইলফোনে জানতে চাইলি তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি। ডা. আইরিন হককে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দিয়েছি। তাকে নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য বলেছি।’

মাধবপুর স্বাস্থ কমপ্লেক্সে অ্যানেসথেসিয়া পদে কোনো চিকিৎসক নেই। এতে জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এখানে আজও চালু হয়নি অপারেশন থিয়েটার। জুনিয়র কনসালটেন্ট (হৃদরোগ) সপ্তাহে দুই তিন দিন সিলেট থেকে এসে রোগী দেখেন। তাছাড়া আরএমও পদ শূন্য থাকায় দায়িত্ব পালন করছেন ডাক্তার কিশালয় সাহা।

(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :