নওগাঁয় কলেজছাত্র খুন: মামলা, আটক ৩
নওগাঁয় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী শ্যামল চন্দ্র বর্মন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় শ্যামলের বাবা গোপাল চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
মামলার সূত্র ধরে ওই ইনস্টিটিউটের তিন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন মোবাইলফোনে জানান, শনিবার সন্ধ্যার কিছু পরে শ্যামলের বাবা বাদী হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ বহিরাগত ৮-৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এরপর জড়িত সন্দেহে ওই কলেজের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আতোয়ার হোসেন ও রনি এবং ৪র্থ সেমিস্টারের ফয়সাল নামে তিন জনকে আটক করা হয়। এদের তিনজনের বাড়িই নাটোর জেলায়।
ওসি বলেন, সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর ১টার দিকে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
শ্যামলের সহপাঠী আব্দুল্লাহ বলেন, মৃত্যুর আগের উপস্থিত কয়েকজন বন্ধুর কাছে মৃত্যু কারণ ও জড়িতদের নাম বলে গেছে শ্যামল। যা তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে খুলে বলেছেন। আর তাই দ্রুতই প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তিনি।
এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে শ্যামলের বাবা-মা। শোকের মাতম চলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শ্যামলের গ্রামের বাড়িতেও।
১০ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র শ্যামল চন্দ্রকে আরজি নওগাঁ ফিসারিজ অফিস এলাকায় উপর্যপরি ছুরিকাঘাত করে কয়েকজন যুবক। যাতে তার পেট ও কমরে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সাথে সাথে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। এ সময় পথেমধ্যেই মৃত্যু হয় শ্যামলের।
নিহত শ্যামল নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মাটিনদর ইউনিয়নের বাসখোলা গ্রামের গোপাল চন্দ্রের ছেলে।
(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)