প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নতুন সাজে ফরিদপুর

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ মার্চ ২০১৭, ২২:৫৮

বহু প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে বুধবার ফরিদপুর আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর আড়াইটায় শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্মিত মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর ফরিদপুর সফরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে আগেই। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে ফরিদপুর শহরকে স্মরণকালের সর্বোৎকৃষ্ট সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে মঙ্গলবার থেকেই শহরতলীর একদিকে বদরপুর, অপরদিকে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এবং শহরের প্রধান সড়ক মুজিব সড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ফরিদপুর জেলা পুলিশের ডিআই-ওয়ান জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল থেকে শুরু করে তার চারপাশে কয়েক বর্গ কিলোমিটার এলাকা এবং শহরের সকল প্রবেশদ্বার তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা চাদরে আচ্ছাদিত করা হয়েছে।

তিনি জানান, আড়াই সহস্রাধিক পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সফর ও জনসভা উপলক্ষে নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন এসএসএফ, পিজিআর, র‌্যাব, এপিবিএন, ডিএসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, ডিবিসহ আনসার সদস্যরা।

ফরিদপুরের এনডিসি পারভেজ মল্লিক জানান, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ফরিদপুরে অবতরণের পর সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার গ্রহণ করবেন। এরপর তিনি সময়সূচি অনুযায়ী নামাজ ও মধ্যহ্ন বিরতিতে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতা খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতুর বোন শারিতা মিল্লাত রিতু জানান, দীর্ঘদিন পর ভাইয়ের শাশুড়ি জননেত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরে বেড়াতে আসছেন। তিনি দুপুরে কিছুটা সময় আমাদের বদরপুরের বাড়িতে কাটাবেন নাতি-নাতনিদের নিয়ে। এসময় আমরা ফরিদপুরের আতিথেয়তার রেওয়াজ ও ঐতিহ্য অনুযায়ী সফল এই রাষ্ট্রনায়ককে আপ্যায়ন করব।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তার সফরসঙ্গী হয়ে যারা আসছেন তাদের নিরাপত্তা, আবাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও অবস্থানকালীন সময়ের প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে রাজেন্দ্র কলেজের এই মাঠেই জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় ফরিদপুরের উন্নয়নের ভার তার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। তিনি তার কথা রেখেছেন। আমাদের আর নতুন করে চাওয়ার কিছু নেই। এ অঞ্চলের জনগণের দীর্ঘকালের প্রত্যাশিত ফরিদপুর বিভাগ, সিটি করপোরেশন, পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় পদ্মাসেতু, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ অন্যান্য চাওয়াগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাত্ম হয়ে আছেন। আজকের জনসভা ফরিদপুরবাসীর জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ফরিদপুরবাসী এ শহরকে সাজিয়েছে মনের মাধুরী মিশিয়ে তাদের প্রিয়জন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে। স্বাধীনতার পর ফরিদপুরবাসী যা পায়নি, গত ৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী সেই অপ্রাপ্তি পূরণ করে তার থেকে বহুগুণ দিয়েছেন আমাদের। আরো উন্নয়নের বার্তা নিয়ে তিনি আসছেন। তার প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :