দক্ষিণখানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, লুটপাটের অভিযোগ
রাজধানীর দক্ষিণখানে এক স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা না নিয়ে বাদীকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ ১৯৬নং মধ্য আজমপুর মুক্তিযোদ্ধা সরনি হাওয়াই রোডের একটি বাড়ির তৃতীয় তলা ফ্ল্যাটের মালিকের স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে বাসায় একা পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের ইয়াহিয়া রাজ, আব্দুল মতিন ভূইয়ার জামাতা রাসেল আকন, ইউছুফ (কন্ট্রাকটর), সুমনসহ ৫/৭ জন বাসার দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ওই মেয়েকে একা পেয়ে পায়ে ও গলায় রশি বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা চলে যায়। তবে তারা ঘরের আসবাপত্র ও আলমারি ভেঙে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ উঠে। এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সন্ত্রাসীরা।
পরদিন ওই মেয়ের মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে দক্ষিণখান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দক্ষিণখান থানা পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ না করে তাকে আদালতে মামলা দেয়ার পরামর্শ দেয় এবং আসামিপক্ষ অনেক প্রভাবশালী বলে থানায় মামলা না করারও পরামর্শ দেয়।
কিশোরীর মা ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমার স্বামী সাত বছর আগে মারা যান। এরপর আমার এই ফ্ল্যাটটি দখল করতেই ইয়াহিয়া রাজের নির্দেশে আব্দুল মতিন ভূইয়া আমার মেয়ের ওপর বেশ কয়েক বার নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার স্বামীর দেয়া এই ফ্ল্যাটটি দখল করা। তাদের এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো আমার দুনিয়াতে কেউ নেই। আমার এক ছেলে এক মেয়ে তারা দুজনই নাবালক। আমাকে এই বাসা থেকে বাহির করতেই আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করতে চেয়েছিল। এঘটনায় আমি থানায় গেলে পুলিশও আমার অভিযোগ আমলে নেয়নি। পুলিশের কাছে সহযোগিতা না পাওয়ায় তাদের প্রভাবের কাছে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি।’
অভিযুক্ত আব্দুল মতিন ভূইয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ওই মেয়েকে কে বা কারা ধর্ষণের চেষ্টা করছে আমি জানি না, আমি ঘটনার সময় বাসার বাহিরে ছিলাম।’
এ ব্যাপারে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ধর্ষণ ও বাড়িঘরে লুটপাটের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।’ তিনি বলেন, আদালতে যাওয়ার মতো কোনো পরামর্শ আমি তাদেরকে দিইনি। তবে শুনেছি এটা তাদের পারিবারিক বিরোধ।
(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/আইআর/জেবি)