ঝড়ে হবিগঞ্জের ১২ গ্রাম লণ্ডভণ্ড
ঘূর্ণিঝড়ের পর কাল বৈশাখীর তাণ্ডবে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর। এতে পথে বসেছেন দুই শতাধিক পরিবার।
বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড় ও শুক্রবার রাতে বৈশাখী ঝড়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ওই এলাকার ওপর দিয়ে প্রচ- বৃষ্টির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় অনেক পরিবারই প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেই বাইরে অবস্থান নেন। পরে শুক্রবার রাতে আবারো প্রচণ্ড ঝড়ে ওই এলাকায় বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত সুকড়িপাড়া গ্রামের মাসুক জানান, ঘরবাড়ি উড়ে যাওয়ার পর বাইরে অবস্থান নেই। অনেকের ঘরের টিন উড়িয়ে নিয়ে যায় বাতাস। এতে ধ্বংস্তুপে পরিণত হয় ওই এলাকার প্রায় ১২টি গ্রাম।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিজামপুর ইউনিয়নের সুকড়িপাড়া।
শুক্রবার সকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মো. সফিউল আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম আজহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মুকিত ও নিজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন তাজ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
তারা পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৫ মেট্রিক টন চাউল বিতরণ করেন। এছাড়া বিকেলে নগদ তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ৬০ বান্ডিল ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। পরে শনিবার রাতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও উপ-সচিব মো. সফিউল আলম জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চাউল, নগদ টাকা ও টিন বিতরণ করা হয়েছে। তারা যাতে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
ঝড়ে সব হারিয়ে এসব পরিবার মাথা গোঁজার জন্য অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। ঘরবাড়ি ও সহায় সম্বল হারিয়ে ওই এলাকায় হাহাকার শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নগদ টাকা, টিন ও চাউল দেয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/প্রতিনিধি/ইএস)
মন্তব্য করুন