ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বিদ্যালয়, খোলা আকাশের নিচে পরীক্ষা
কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয় লণ্ডভণ্ড হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পরীক্ষা দিচ্ছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বিদ্যালয়ের খোলা আকাশের নিচে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা দিয়েছে বিদ্যালয়টির পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, গত কয়েক দিন ধরে তাদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলছে। শুক্রবার রাতের বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তাদের টিনসেড ঘরটি উপড়ে পড়ে যায়। ফলে শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় শনিবার তারা খোলা আকাশের নিচে বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা দেন।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী এসমতারা, মিলন, আশরাফুল, মিম মনি ও বিথী সাংবাদিকদের জানান, পরীক্ষা দিতে এসে দেখি ঝড়ে শ্রেণিকক্ষ উল্টে গেছে। তাই কষ্ট হলেও খোলা আকাশেই পরীক্ষা দিলাম।” এ সময় বিদ্যালয়ে একটি একাডেমিক ভবনের দাবি জানিয়েছে তারা।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম জানান, ২০০০ সালে টিনসেড ঘরে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ২০১৩ সালে দ্বিতীয় দফায় জাতীয়করণ হয় বিদ্যালয়টি। গত অর্থবছর এলজিএসপি প্রজেক্টের মাধ্যমে দুই কক্ষের একটি পাকা টিনসেড করা হয়। সেখানে দুটি শ্রেণিকক্ষ হলেও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পুরাতন টিনসেড কক্ষেই পাঠদান করা হয়, গত শুক্রবারের ঝড়ে যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেজন্য পরীক্ষা মাঠের গাছতলায় নেয়া হয়। তিনিও বিদ্যালয়টির একাডেমিক ভবনের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
শুধু গোয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, গত শুক্রবার রাতের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর ও আদিতমারী উপজেলার বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়েও পরীক্ষা চলে খোলা আকাশের নিচে।
বনচৌকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বিজলী বেগম সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যালয়ের ছাউনি ঝড়ে উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশে পরীক্ষা নেয়া হয়। একই অবস্থা ওই উপজেলার টিনসেড ঘরে নির্মিত বিদ্যালয়গুলোর।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, জেলায় ৭৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে কিছু রয়েছে টিনসেড ঘরে। ঝড়ে টিনসেড বিদ্যালয়গুলোর ক্ষতি হয়েছে। তবে তার তালিকা করতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/প্রতিনিধি/এমআর