ছাত্রীর আত্মহত্যায় চার শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ
পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় শিক্ষকদের ভর্ৎসনায় ছাত্রী সাথী আক্তারের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঁদপুর সদরের বাগাদী গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক ও এক কর্মচারীর বেতন ভাতা (এমপিও) বন্ধের দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনা গত মার্চ মাস থেকে কার্যকর হয়েছে।
যাদের বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন মজুমদার, সহকারী শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও অফিস সহকারী ফাতেমা বেগম।
ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তার ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট আত্মহত্যা করে। পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় ওই ছাত্রীকে ভর্ৎসনা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে সে আত্মহত্যা করে বলে তখন অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় সাথীর বাবা বাদী হয়ে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ বেশ কয়েজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর মামলার আসামি চার শিক্ষকের বেতন ভাতা বন্ধের নির্দেশনা আসে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে বিদ্যালয়ের ছাত্রী আত্মহত্যার কারণে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীসহ চার জনের এমপিও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে ওই নির্দেশনা কার্যকর হয়ে তাদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম সাইফুল হক জানান, ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় বিদ্যালয়ের চারজনের বেতন-ভাতা (এমপিও) বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এ ঘটনার পর সরেজমিনে তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওই চার শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনভাতাদি বন্ধের সিদ্ধান্ত দেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম কামরুল হোসেন জানান, মার্চ মাস থেকে ওই চার শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ হয়ে যায়। তাদের উচ্চ আদালতে রিট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৮মে/প্রতিনিধি/জেডএ)
মন্তব্য করুন