তালতলী থানার ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
৭০ হাজার টাকা ঘুষ না দেয়ায় আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগে বরগুনার তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমলেশ চন্দ্র হালদারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনটি করেন তালতলীর উপজেলার বড়ভাইজোড়া গ্রামের মো. জামাল হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘আমার বাবা মৃত আবুল কাশেম হাওলাদার ৭০ বছর আগে বড়ভাইজোড়া গ্রামে জমি ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। ওই ঘরেই আমাদের ছয় ভাই-বোনের জন্য। বাবার মৃত্যুর পর একই উপজেলার ঝাড়াখালী গ্রামের আ. আজিজ ১৯৬৩ সালের একটি জাল দলিল করে আমাদের ভোগ-দখলীয় জমি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করেন।
জামাল হোসেন বলেন, সম্প্রতি প্রয়োজনে আমরা আমাদের বসতবাড়ির গাছ কাটলে আ. আজিজ জাল দলিল দিয়ে আমিসহ আমার ২০ জন নিকটাত্মীয়ের নামে বরগুনার আমলীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। যার তদন্ত ভার দেয়া হয় তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমলেশ চন্দ হালদারের কাছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আমরা এসএ ৩৮০ ও ৩৮১ নং খতিয়ানের ৯১৫৯ ও ১৪৪২ নং দাগের জমির আমরা গাছ ও মাটি কাটিয়েছি। অথচ এসব জমি আবাদি জমি এ জমিতে কখনও গাছ ছিল না এবং মাটি কাটেননি জানিয়ে মো. হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মামলার তদন্ত ভার পাওয়ার পরপরই ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার আমাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেন।
পরে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের সময় আমাদের কাছে আরো ৭০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার। এ ঘুষের টাকা দিতে আমারা অপারগতা প্রকাশ করলে, ওসি মামলার বাদীর কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত না করেই আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এর প্রেক্ষিতে আদালত আমিসহ আমার ছয়জন নিকটাত্মীয়ের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এসময় তিনি এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিকার দাবি করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আ. আজিজ বলেন, তার দলিলটি জাল নয়। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমলেশ চন্দ্র হালদারকে তিনি কোন উৎকোচ দেননি জানিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি এই জমি ভোগ-দখল করে আসছি।’
তদন্তের সময় মামলার বিবাদীদের কাছ থেকে ধরনের উৎকোচ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, আমি মামলার বিবাদীদের কাছে কখনো কোন টাকা চাইনি এবং টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কোন বিষয়ে তাদের সাথে কখনো কোন কথা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্তের সময় আমি যেসব তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি, সেগুলোই প্রতিবেদনে উল্লেখ করে আদালতে দাখিল করেছি।
মামলার বাদীর কাছ থেকেও কোন ধরনের সুবিধা নেননি বলেও জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১০মে/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন