দেশে কোন খাদ্য সংকট নেই: খাদ্যমন্ত্রী
‘দেশে কোন খাদ্য সংকট নেই। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের কারণে মনস্তাত্ত্বিক সংকট- অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
বুধবার সকালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও মিল মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ধান নষ্ট হয়েছে। ছয় লাখ মেট্রিক টন যদি হাওর অঞ্চলে নষ্ট হয়ে থাকে, ব্লাস্টের আক্রমণ ও অতিবৃষ্টির কারণে যদি আরো সাত-আট লাখ টন ক্ষতি হয়ে থাকে- তারপরেও ১ কোটি ৮০ লাখ টন বোরো ফসল আমরা পাব। ১০-১২ লাখ টন না হয় ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু বাজারে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা আর এক শ্রেণির প্রচারমাধ্যম এমন প্রচারণা চালাচ্ছেন তিলকে তাল করে মানুষের মধ্যে একটা শঙ্কা ও আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে- যে দেশে একটা খাদ্য সংকট তৈরি হবে।
তিনি বলেন, আমদানি করা খাদ্য থেকে ট্যারিফ উঠিয়ে দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাজি হননি। কারণ এতে বিদেশ থেকে আবার চাল আসা শুরু হবে এবং কৃষকদের ক্ষতি হবে। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষকদের ক্ষতি করা চলবে না। কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল আমদানি করব। তারপরও কৃষকের কথা চিন্তা করে চাল আমদানির উপর শুল্ক প্রত্যাহার করবে না সরকার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো খাদ্য সংকট নাই। মজুদ পরিস্থিতিতে খারাপ অবস্থানে আমরা নাই, ভালো অব্স্থানে আছি। প্রথম আলোসহ কিছু মিডিয়া অহেতুক ভুলবার্তা মানুষকে দিয়ে, মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে জেলা খাদ্য বিভাগ চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৮৬ হাজার মে. টন।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রীর সামনেই জেলার ৬১টি মিল মালিক ১০ হাজার টন চাল সংগ্রহের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। মে মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি মিল মালিক চুক্তি বদ্ধ হবেন।
দিনাজপুরে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে জেলা খাদ্য বিভাগ মনে করেন।
মতবিনিময অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হায়দার, দিনাজপুর চেম্বারের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী, চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি সারওয়ার আশফাক লিয়নসহ অনেকে।
(ঢাকাটাইমস/১৭মে/এসএএস/এলএ)