নরসিংদীতে যাদের ‘খোঁজে’ অভিযান, নেই তারা
নরসিংদী সদর উপজেলায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা থেকে যারা র্যাবের হাতে ধরা দিয়েছেন, তাদেরকে ধরতে সেখানে অভিযানে যায়নি বাহিনীটি। র্যাব জানিয়েছে, সেখানে নতুন মুখ পাওয়া গেছে। আর এরা জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত কি না, সে বিষয়ে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
শনিবার বিকালে নরসিংদী সদর উপজেলার গাবতলী উত্তরপাড়া গ্রামে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘেরাও করে র্যাব। এক তলা বাড়িটি দুবাই প্রবাসী মঈন উদ্দিন আহমেদের। রবিবার সকালে এই বাড়ি থেকে বের করে আনা হয় পাঁচ জনকে।
পাঁচ জন আত্মসমর্পণের পর ওই বাড়িটিতে তল্লাশি চালায় র্যাব। সেখানে কোনো অস্ত্র বা গোলাবারুদ পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। তিনি আটকদের পরিচয়ও জানাতে রাজি হননি।
বাড়িটি ঘেরাওয়ের পর মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছিলেন সুনির্দিষ্ট তথ্যেও ভিত্তিতেই তারা এই অভিযানে নেমেছেন। তিনি বলেন, তাদের কাছে তথ্য ছিল, সিলেটের আতিয়া মহল থেকে পালিয়ে আসা জঙ্গিরা এখানে অবস্থান নিয়েছে।
তবে অভিযান শেষে আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে অন্য বক্তব্য দেন মুফতি মাহমুদ খান। তিনি বলেন, ‘যারা এখানে থাকার কথা তাদের অনেকেই নেই। আবার যারা আছে তাদের অনেকেই নতুন এসেছে। আটককৃতদের সঙ্গে জঙ্গিদের কোন যোগাযোগ আছে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ’
আটকদের পরিচয়ও পকাশ করতে রাজি হননি মুফতি মাহমুদ খান। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে তাদের সঠিক পরিচয় বলা সম্ভব নয়। আমরা পাঁচ জনের নাম পেয়েছি, অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে।’
তবে এই র্যাব কর্মকর্তা না জানালেও তবে সাইদুর রহমান নামে এক জন সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন র্যাব যাদেরকে ধরেছে তাদের মধ্যে তার ভাগ্নে আছে। তার নাম মাসুদুর রহমান। সে জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি গাজীপুর বোর্ডবাজার এলাকায়।
মাসুদুর রহমান তার ভগ্নিপতি আজহার ইবনে মাহফুজের সঙ্গ থাকেন। তিনি একজন শিক্ষক যিনি গাবতলী এলাকায় মাওলানা কামালুদ্দিন জাফরীর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকেন।
সাইদুর রহমান জানান, তার ভাগ্নে শনিবার বিকেল পৌনে চার টায় বাসা থেকে বোনের কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যায় এবং এ বাসায় থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স করা আবু জাফর স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ে।
সাইদুর রহমান এখানে আটক অন্য চার জনের পরিচয়ও প্রকাশ করেন। তার তথ্যমতে এটা চার জনের নাম যথাক্রমে আবু জাফর, মশিউর রহমান, বাশিরুল ইসলাম ও সালাহ উদ্দিন। তবে এদের বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানাননি সাইদুর।
জানতে চাইলে নরসিংদী জেলা প্রশাসক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘র্যাবের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তারা আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান শেষের কথা জানালে পরে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হবে।’
ঢাকাটাইমস/২১মে/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন