সেই শিশুটির ঠাঁই যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১০ বছরের শিশুকে জামিন দেননি বিচারক। তাকে যশোরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার মঠবাড়িয়ার বিচারিক হাকিম হাকিম আবু বকর সিদ্দিক এই আদেশ দেন। ওই শিশুটি যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে মামলায় বলা হয়েছে, সেই সাড়ে চার বছরের শিশুটিকে তার জবানবন্দি রেকর্ড করে মায়ের জিম্মায় রাখার আদেশও দিয়েছেন বিচারক।
গত শুক্রবার ১০ বছর বয়সী শিশুটির বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেন সাড়ে চার বছর বয়সী শিশুটির মা। তবে স্থানীয়রা বলছেন, সেদিন দুই শিশুর জন্য ঝগড়া হয়েছিল। পরে স্থানীয় সালিশে মেয়ে শিশুটির মা বরিবার ছেলে শিশুটির পরিবারের কাছে পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছিল। কিন্তু অতি দরিদ্র জেলে পরিবারের পক্ষে এই টাকা দেয়া সম্ভব হয়নি। পরে এই পরিবারের ১০ বছর বয়সী শিশুটির বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করা হয়।
আর মামলার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে ধরে মঠবাড়িয়া থানায় নেয় পুলিশ। থানার গারদে তাকে দুই দিন বন্দী রাখা হয়।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করেছেন ১০ বছর বয়সী শিশুটির বাবা। ঢাকাটাইমসকে তিনি জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তার কাছ থেকে ১২০০ টাকা ও গাড়ি ভাড়া বাবদ দুই দিনে চার হাজার টাকা নেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবার জামিনে মুক্ত করে দেয়ার কথা বলে চাওয়া হয় ২০ হাজার টাকা।
তদন্ত কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক মাহাবুল ইসলাম অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আসামির বয়স নির্ণয়ের প্রতিবেদন পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
ঢাকাটাইমস/২১মে/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন