মামলা প্রত্যাহার সম্ভব নয়: জাবি ভিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। সেই সাথে বাসভবনে ভাঙচুর ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার বিকাল ৪টায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, আমরা লিখিতভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও তারা সরে আসেনি। পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুধাবন করে শিক্ষার্থীদের উচিত ছিল মানবিক আচরণ করা। কিন্তু তারা তা না করে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। তাদের বারবার অনুরোধ করা সত্বেও তারা ক্যাম্পাসে ফেরেনি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে বাইরে যাওয়ায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর পুলিশ অ্যাকশনে গিয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়।
তবে মামলা সংক্রান্ত কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকাণ্ড আবার শুরু করার ব্যাপারে প্রশাসন শিগগিরই উদ্যোগ নেবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক অসিত বরণ পালকে প্রধান এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসানকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক মো. শাহেদুর রশিদ, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক রাশেদা আখতার, সহযোগী অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার।
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আমির হোসেন, গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক বশির আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে মামলা প্রত্যাহার, পুলিশি হামলায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন, হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও বিদ্যমান ঘটনা সমাধানে প্রক্টরের কোন প্রকার সদিচ্ছা দৃশ্যমান না হওয়ায় তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্য মঞ্চের ব্যানারে কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে এসব বিষয়ে তিনি তেমন কোন ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানান।
এছাড়া বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করলেও প্রশাসন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি।
(ঢাকাটাইমস/২৮মে/প্রতিনিধি/এলএ)