ডিএসইতে আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। এর ফলে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতনে বিরাজ করছে বাজার।
এইদিন শুরুতে উত্থান থাকলেও ২০ মিনিট পর সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। শেষ দিকে একবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যাহত হয় বাজার। সোমবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৪২ কোটি টাকা।
এদিকে আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত আট মাসের সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩১৪ কোটি ৯২ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আজ ডিএসইতে ৩৪২ কোটি এক লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের তুলনায় ২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা কম। গতকাল রবিবার ডিএসইতে ৩৬৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৩৫৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২৪৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৯৮৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৪টির, কমেছে ১৭৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টি কোম্পানির শেয়ার দর।
গতকাল রবিবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৪০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৩৭২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১২৫১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৯৯৪ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৩৬৩ কোটি ৪১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২১ কোটি ৪০ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
আজ চট্টগ্রাম স্টক এক্সেঞ্জে (সিএসই) ৫০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৫৭২ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ার।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক একচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে আজ বস্ত্র খাতের কোম্পানির আধিপত্য দেখা গেছে। আজ লেনেদেনে টপটেন ২০ কোম্পানির মধ্যে সাতটি রয়েছে বস্ত্র খাতের। এগুলো হলো-প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ইভেন্স টেক্সটাইল, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, সায়হাম টেক্সটাইল, জাহিন স্পিনিং এবং মোজ্জাফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
(ঢাকাটাইমস/২৯মে/আলাল/জেবি)
মন্তব্য করুন