স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, পুলিশ কর্মকর্তা বললেন ‘তুচ্ছ ঘটনা’
নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে আলম নামে বিবাহিত এক ব্যক্তি। এ সময় মেয়েটি অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। পরে সংশ্লিষ্ট ফাঁড়িতে মেয়েটির মা অভিযোগ করেন। ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল হক স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, এটা তেমন কিছু না...।’ এই পুলিশ কর্মকর্তা গ্রাম্য সালিশেরও পরামর্শ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, স্থানীয় এক প্রবাসীর মেয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন সে একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বৃষ্টি নামে। এসময় মেয়েটি নলবাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় আশ্রয় নেয়। পরে একই গ্রামের আলম মেয়েটিকে একা পেয়ে তাকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মেয়েটি ধস্তাধস্তি করে নিজেকে কোন রকম রক্ষা করে। পরে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে উঠে। এ ঘটনা মেয়েটি তার মাকে জানালে তিনি স্থানীয় ইউপি মেম্বার গোলজার হোসেনের সহযোগিতায় আমিরগঞ্জ ফাঁড়িতে গিয়ে পুলিশকে জানান।
ভুক্তভোগীর মা জানান, এসময় দারোগা আমিনুল ফোনে কথা বলে। পরক্ষণেই ফাঁড়ি ইনচার্জ আমিনুল হক ঘটনা তদন্তে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে যান। এসময় স্থানীয় মেম্বার গোলজার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকালে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হবার পরও ইনচার্জ আমিনুল হক অভিযুক্ত আলমকে গ্রেপ্তার না করে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার জন্য পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে ফাঁড়ি ইনচার্জ আমিনুলের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। বলেন, ‘এটা তেমন কিছুই না, মেয়েটির মুখ চেপে ধরে ছিল, পরে আর কিছু ঘটেনি।’
(ঢাকাটাইমস/১জুন/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন