সৌরভ গাঙ্গুলি বললেন, কিরে দাদাগিরি দেখিস?
রাতে ও সকালে বৃষ্টি হওয়ায় আউটফিল্ড ভিজে। এ কারণে ম্যাচ শুরু দেরি হচ্ছিলো। যুক্তরাজ্য আসার পর প্রথম কদিন রোজা ছিলাম। এখানে ১৮-১৯ ঘণ্টা রোজা। দীর্ঘ সময়ের রোজা আমাকে খুব ক্লান্ত করে ফেলেছিল। রোজা আপাতত বাদ দিতে হয়েছে। সকালে বাসা থেকে খেয়ে আসিনি। মাঠে পৌঁছেই তাই নাস্তা করতে গেছি ডাইনিংয়ে। গিয়ে দেখি বসে কফি পান করছেন সৌরভ গাঙ্গুলী। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি বিশেষজ্ঞ ধারাভাষ্যকার। ধারাভাষ্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও।
‘দাদা, নমস্কার, কেমন আছেন।’ ভারতীয় অধিনায়ক আমাকে চিনতে পারলেন। ১৯৯৯ সালে তার ছোট একটা ইন্টারভিউ করেছিলাম। এরপর ২০০০ সালে তিনি ভারতীয় দলের অধিনায়ক হয়ে এসেছিলেন। তখন তার একটা ইন্টারভিউ নিয়েছিলাম হোটেল সোনাগাঁওয়ে বসে। এরপরেও কয়েকবার তার সঙ্গে কথা হয়েছে।
তিনি আমাকে চিনে নিতে পারলেন।‘হ্যাঁ, ভালো। তুই কেরম আছিস। দাদাগিরি দেখিস তো?’ বললাম‘ দাদা, আপনার অনুষ্ঠান না দেখে কি পারা যায়? বাংলাদেশে তো আপনার কোটি কোটি ভক্ত, দাদা। তারা সবাই দাদাগিরি দেখার জন্য উদগ্রীব থাকে।’ ‘ও, তাই নাকি?’
জানতে চাইলাম ম্যাচ নিয়ে। কী হবে?বাংলাদেশ পারবে তো? সৌরভের যা উত্তর তাতে ম্যাচটা যে খুব কঠিন হবে তা বুঝা গেল।‘ওদের অলআউট করতে হবে। ওদের ব্যাটিং খুব শক্ত। শুরুতে গোটা দুয়েক উইকেট নিয়ে চাপে ফেলতে হবে। মনে হচ্ছে উইকেট স্পোর্টিং আছে। বোলারদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। ওদের অলআউট করতে না পারলে ম্যাচ জেতা কঠিন।’
বাংলাদেশের পেস বোলিং কেমন মনে হচ্ছে? মোস্তাফিজকে কেমন দেখছেন?‘ খারাপ না। কিন্তু আরো কাজ করার আছে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায় কীভাবে সে উপায় বের করতে হবে। মোস্তাফিজ তো চ্যাম্পিয়ন বোলার। ওকে আরো টেক কেয়ার করতে হবে।’
বলতে বলতে উঠে পরলেন কলকাতা মহারাজ।হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,‘ পরে কথা হবে। এখন যাই রে। ভালো থাকিস।’
(ঢাকাটাইমস/৯জুন/ডিএইচ)
মন্তব্য করুন