শিশু আব্দুল্লাহ হত্যায় একজনের ফাঁসি
ঢাকার কেরানীগঞ্জের মুগারচরে শিশু আবদুল্লাহ হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। তার নাম খোরশেদ আলম। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তার ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
এছাড়া রায়ে আসামি মেহেদি হাসান শামীমের ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, মিতুকে এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর আসামি নাসিমা আগে সাড়ে তিন মাস কারাভোগ করায় সেটিই সাজা হিসেবে গণ্য করা হয়।
বুধবার ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খোরশেদ জামিন নেয়ার পর পলাতক রয়েছেন।
মামলার আসামি মেহেদি হাসান শামীমের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় শিশু আইনে তাকে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। হত্যার আলামত গোপনের অভিযোগে আসামি মিতু আক্তারের এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর আসামি নাসিমা বেগম আগে সাড়ে তিন মাস কারাভোগ করায় সেটিকে তার সাজা হিসেবে গণ্য করা হয়।
এর আগে গত ৮ জুন মামলাটিতে যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন বিচারক।
কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. আবদুল্লাহ (১১) ২০১৬ সালের ২৯ জানুয়ারি দুপুরে নিখোঁজ হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওইদিনই আসামি মেহেদী হাসান ওই শিশুকে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যান এবং আসামি মোতাহার এবং খোরশেদ মুখ চেপে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা হয় এবং আসামি কায়কোবাদকে লাশ ফেলার জন্য ভাড়া করা হয়। এর আগে মুঠোফোনে তাকে অপহরণের দাবি করে দুই দফায় দুই লাখ টাকা নেয় অপহরণকারীরা।
২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আবদুল্লাদের বাড়ির মাত্র ১০০ গজ পশ্চিমে মোতাহার হোসেনের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা আবদুল্লাহর গলিত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপর ওই বছর ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার মূল আসামি মোতাহার হোসেন র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
একই বছর ৯ মার্চ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মোতাহার হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান, মেয়ে মিতু আক্তুর এবং স্ত্রী নাছিমা বেগমের সঙ্গে বন্ধু খোরশেদ এবং জনৈক কায়কোবাদকে আসামি করা হয়।
রায়ে ঘোষণার সময় ভিকটিমের মা ও খালা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ে দুইজনের সাজা কম হওয়ায় নিহতের মা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির যেন দ্রুত ফাঁসি কার্যকর হয় সেই দাবি জানান তিনি।
রায় ঘোষণার সময় খোরশেদ ছাড়া অন্য সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাটাইমস/১৪জুন/আরজে/এমআর
মন্তব্য করুন