আইসিটি পণ্যের সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির দাবি

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৭ জুন ২০১৭, ১০:৪৭
অ- অ+

২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত বা সংযোজনকৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। সেইসঙ্গে তারা দীর্ঘমেয়াদে ট্যাক্স হলিডে চেয়েছেন। তাদের মতে, ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে আমদানি পণ্যের সঙ্গে শুরুতেই পেরে উঠবে না স্থানীয় উদ্যোক্তারা। আর দীর্ঘমেয়াদে আয়কর অব্যাহতি পেলে ওই টাকা পূনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে এই শিল্পের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।

উদ্যোক্তারা মনে করেন, প্রস্তাবিত কর কাঠামো বহাল থাকলে দেশে মোবাইল ফোন শিল্প গড়ে উঠবে না এবং সরকারের ভিশন ২০২১ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা ব্যাহত হবে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত বা সংযোজনকৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনে সরবরাহ পর্যায়ে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো সরবরাহ ভ্যাট নেই।

কম্পিউটার অ্যান্ড মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি, উদীয়মান এ শিল্পে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে ১৫ বছরের জন্য আয়কর অব্যাহতির সুবিধা ঘোষণারও দাবি জানানো হয়েছে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এসএম রেজোয়ান আলম বলেন, দেশে আইসিটি পণ্য বিশেষত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসব পণ্যের আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ বা কাঁচামাল আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণের পাশাপাশি ভ্যাট প্রত্যাহারের করা হয়েছে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে সম্পূর্ণ তৈরি ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, রয়েছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। কিন্তু, দেশে তৈরি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে সরবরাহ পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে এনবিআর।’

এ ধরনের শুল্ক ও কর নীতি স্থানীয় আইসিটি শিল্পের বিকাশে বড় বাঁধা বলে মনে করেন তিনি।

সংগঠনটির সদস্য ফাহিম রশিদ বলেন, ভারতে মোবাইল ফোন আমদানির উপর ১৭.৯৭ শতাংশ শুল্কারোপ রয়েছে। কাঁচামাল আমদানির উপর গড় শুল্কহার দুই শতাংশেরও কম। তারা এ শিল্পের জন্য পরিকল্পিতভাবে ৩০ বছরের ট্যাক্স হলিডে ঘোষণা করেছে। ভিয়েতনামের কথা বলাই বাহুল্য। একসময়ের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি বিনিয়োগ এবং পর্যাপ্ত শিল্পোদ্যোগের মাধ্যমে এগিয়েছে অনেক দূর। মোবাইল ফোন ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুয়েপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) করেও তারা আয় করছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। অন্যদিকে বাংলাদেশে এ ধরনের শিল্পে বিনিয়োগ করলে আমাদের ৩৫ শতাংশ হারে করপোরেট ট্যাক্স দিতে হবে। তাহলে আমরা দাঁড়াব কীভাবে। এ শিল্প সুরক্ষা পাবে কীভাবে?

খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্বে জটিল প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের মতো আইসিটি শিল্প। উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন অতি সূক্ষ্ম এবং সংবেদনশীল যন্ত্রাংশ, দক্ষ জনবল এবং নিঁখুত মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা- এই তিনটি মূল ভিত্তির উপরে এ শিল্প প্রতিষ্ঠিত। দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে আরো গতি সঞ্চার করতে দেশেই ল্যাপটপ ও মোবাইলফোন শিল্প স্থাপণের মতো সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন বেশ কয়েকজন দেশীয় উদ্যোক্তা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরকারি নীতি সহায়তার আশ্বাস পেয়ে ইতোমধ্যে কারখানার অবকাঠামো নির্মাণ, যন্ত্রপাতি স্থাপন, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ স্থাপনসহ বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন করেছেন। এখন শুধু অপেক্ষা পুরো দমে কারখানা চালু করার। কিন্তু, তাদের এ মহৎ উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের পথে বড় বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে সরবরাহ পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাট।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/এজেড)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
৩১ রানেই ৩ উইকেট নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের
ভারতে আটক বাংলাদেশি জেলেদের শিগিগিরই ফেরানো হবে: পররাষ্ট্র সচিব
৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু ২৯ ডিসেম্বর
ভারতকে মুসলিমসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার আহ্বান খেলাফত মজলিসের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা