কর ফাঁকি দিলে নিজেই ফাঁকিতে পড়বেন: প্রধানমন্ত্রী
কর ফাঁকির প্রবণতা থেকেও বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কর ফাঁকি দিতে গেলে নিজেরাই ফাঁকিতে পড়বেন। কারণ, করের টাকা আমাদের কাজে লাগে। তা বুঝতে হবে। এ কর নিয়ে তো কেউ খেয়ে ফেলবে না।’
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে কর প্রদানের হার অনেক কম জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজস্ব আদায়ে জিডিপি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় যথেষ্ট কম (৫.৯ শতাংশ)। তাই আমাদের কর জিডিপির অনুপাত বাড়াতে হবে।’
‘কর জিডিপির অনুপাত আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ১৩ শতাংশে নিয়ে যেতে চাই। আমি জানি এটা উচ্চাবিলাসী। তবে উচ্চাবিলাস রাখা প্রয়োজন। এ জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে করদাতা বৃদ্ধি, কর আদায়ে উদ্যোগ বৃদ্ধি এবং কর আদায়কারীদের কৌশল আরও উন্নত করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের দেশের পেশাজীবী, সম্পদশালী গোষ্ঠী, উদ্যোক্তা গোষ্ঠীদের সরকারি রাজস্ব প্রদানে ঐতিহ্য পরিবর্তন বাঞ্ছনীয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ট্যাক্স দেশের উন্নয়নেই ব্যয় হবে। মানুষকে সেই মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। তবে এখন আমরা দেখছি আমাদের করদাতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কর আদায়কারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’
‘আওয়ামী লীগ সরকারকে উন্নয়নের সরকার বলতে আমি গর্ববোধ করি’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত আট বছরে বাজেটের আকার যেমন বেড়েছে ঠিক তেমনি রাজস্ব আদায়ও বেড়েছে। ... একবিংশ শতাব্দীর ধারপ্রান্তে আমরা পরনির্ভশীল হয়ে থাকব না। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। দেশের কর, রাজস্ব এবং বিনিয়োগবান্ধব সহযোগিতার জন্য ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং দেশের জন্যগণকে ধন্যবাদ জানাই। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই আমাদের ভরসার স্থল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘদিনের প্রয়াস চালিয়ে আমরা দেশে রাজস্ববান্ধব সাংস্কৃতি চালু করতে পেরেছি। এখন জনগণও কর প্রদানে বিশেষ আগ্রহ দেখায়। অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের সচেতন জনগণ এখন কর দেয়াকে বাহদুরি বলে মনে করেন। কারণ এ কর জাতির উন্নয়নে কাজে লাগে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেকই আছে কোন কিছু হলে বলেন কর কমাও, কর কমাও। কিছু খ্যাতিমান মানুষ বিদেশ থেকে পুরস্কার হিসাবে অর্থ পাই। এসেই বলবে, আমার ট্যাক্সটা মাপ করে দেন। কিন্তু আমি বলতে পারি, আমি বিদেশ থেকে অনেক পুরস্কার পেয়েছি, সেখানে অর্থও পেয়েছি। আমি কোনদিন ট্যাক্স মাফ চাইনি। আমি খুশি মনে ট্যাক্স দিয়েছি।’
ঢাকাটাইমস/২৮জুন/টিএ/ডব্লিউবি