ভিজিএফের গম কম দেয়ার অভিযোগ, ইউপি সচিবকে মারধর

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০১৭, ২২:০৪

বিতরণকৃত ভিজিএফ গমের সুবিধাভোগীদের তালিকা নিতে বাধা দেয়ায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউপি সচিবকে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা বৃহস্পতিবার এক জরুরি সভায় তাকে বয়কটসহ ব্যবস্থাগ্রহনের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি দিয়েছেন।

জানা গেছে, পবিত্র ইদুল ফিতর উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৪নং বড়গাঁও ইউনিয়নে ১৩৯৭ জন লোকের মাঝে ভিজিএফের গম বিতরণ করা হয়। মাথাপিছু ১৩ কেজি করে গম বিতরণ করার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার ও সচিব মাথাপিছু ১০ কেজি করে গম বিতরণ করে অবশিষ্ট গম নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করেন।

এদিকে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বড়গাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবি ইউপি সচিব শামসুজ্জামানের কাছে যান এবং বিতরণ তালিকা দেখতে চান। এক পর্যায়ে রবি তালিকাটি ফটোকপি করতে চাইলে ইউপি সচিব শামসুজ্জামান বাধা দেন। এতে উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবি ইউপি সচিব শামসুজ্জামানকে শার্টের কলার ধরে এলোপাথাড়ি চড়থাপ্পড় মারেন। উপস্থিত ইউপি সচিব অরুণ মেম্বার ও গ্রাম পুলিশ ইসলাম উদ্দীন এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

ঘটনার সময় উপস্থিত অরুণ চন্দ্র বর্মন জানান, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রবি ভিজিএফ গম বিতরণের তালিকা ফটোকপি করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। সচিব বাধা দেয়ায় তার উপর হামলা চালানো হয়।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিংহ জানান, বুধবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবি ইউপি কার্যালয়ে এসে সরকারি কাগজ ফটোকপি করে নিতে না পারায় সচিবের উপর চড়াও হয় এবং তাকে লাঞ্ছিত করেন।

তিনি আরো জানান, রাজাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম বিষয়টি মীমাংসা করার দায়িত্ব নেয়ায় থানায় মামলা করা হয়নি।

তবে প্রাথমিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

বড়গাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার চেয়ারম্যান ১৩ কেজির স্থলে ১০ কেজি করে গম বিতরণ করেন। এ তালিকা ফটোকপি চাইতে গেলে তিনি আমাকে ধমকানোর চেষ্টা করলে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। তবে ধাক্কাধাক্কি ও মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :