অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার ৫০ শতাংশ নারী
প্রতি দুই জনের একজন নারীই চলার পথে অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার হন বলে একটি জরিপে বের হয়ে এসেছে। ওই জরিপ অনুযায়ী হাসপাতালে সেবা নিতে গিয়ে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ নারী সেবা প্রদানকারীদের কাছ থেকে দুর্ব্যবহারের শিকার হন।
এই গবেষণাটি করেছে আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যাকশনএইডের বাংলাদেশ শাখা। গবেষণার শিরোনাম ছিল, ‘গণপরিসরে নারীর প্রতি সহিংসতার প্রেক্ষিতে গণসেবা’। রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক নুজহাত জেবিন।
খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও নারায়নগঞ্জ-সিটি করপোরেশনের পুলিশ প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাজার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং হাসপাতাল সেবা নিয়ে ৪০০ মানুষের উপর এ গবেষণাটি করা হয়।
জরিপকৃত এলাকায় ৩০ ভাগ নারী মনে করেন যে, পুলিশ স্টেশনে তারা টিজিং-এর শিকার হন এবং শতকরা ৩৫ জন মনে করেন যে, তারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন।
২০১৬ সালের শুরুর দিকে করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। আবার এই সকল স্থানে সহিংসতার কোন ঘটনা ঘটলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো যথাযথভাবে আমলে নেয়া হয় না বা সঠিক কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
নুজহাত জেবিন বলেন, ‘জরুরি গণসেবা নিতে গিয়ে নানা ধরণের সমস্যা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নারীরা বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে।’
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের পরিচালক আজগর আলী সাবরির সঞ্চালনায় আরও বিক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক জেষ্ঠ্য গবেষক প্রতীমা পাল মজুমদার।
ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/জেআর/ডব্লিউবি