ভিয়েতনামের চালের দ্বিতীয় চালান চট্টগ্রামে

হাওরে আগাম বন্যা ও জলাবদ্ধতায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফসলহানির পর চালের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ভিয়েতনাম থেকে আনা চালের দ্বিতীয় চালান চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। শিগগির আরও একটি চালান এসে পৌঁছবে বলে জানিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।
সোমবার সকালে ২৭ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে আসা জাহাজ ‘এমভি প্যাক্স’ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। এর আগে বৃহস্পতিবার ২০ হাজার টন চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে জাহাজ ‘ভিসাই ভিসিপি-জিরো ফাইভ’। আগামী ২২ জুলাই ভিয়েতনাম থেকে আরও একটি চালান দেশে আসবে বলে জানিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।
চালের দাম বৃদ্ধি এবং মজুদ কমে আসার প্রেক্ষিতে সরকার ভিয়েতনাম থেকে মোট আড়াই লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দরপত্র ছাড়াই সরকারিভাবে এই চাল কেনার চুক্তি হয়। এই দেশ থেকে সেদ্ধ এবং আতপ দুই ধরনের চালই কেনা হবে।
প্রতি মেট্রিক টন ৪৭০ মার্কিন ডলার দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কিনতে খরচ পড়ছে ১৯৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। এছাড়া ৪৩০ মার্কিন ডলার দরে দুই লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানিতে ৭১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে।
ফসলহানির কারণে বাজারে সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেয়ায় চলতি বোরো মৌসুম শেষে চালের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য মোটা চালের দাম বাড়ে সবচেয়ে বেশি। গতবারের চেয়ে প্রায় ৩২ শতাংশ বেড়ে চালের দাম ৪৭ টাকা কেজি পর্যন্ত উঠে যায়।
এই অবস্থায় গত ১৪ জুন ভিয়েতনাম থেকে সরকার পর্যায়ে চাল আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পাশাপাশি চালের আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ কমানো হয়। এই সিদ্ধান্তের পর বেসরকারিভাবেও দেড় লাখ টনের মত চাল দেশে এসেছে।
যদিও চালের সরবরাহ বৃদ্ধির তেমন সুফল এখনও খুচরা পর্যায়ে পৌঁছেনি। তবে পাইকারি পর্যায়ে চালের দাম কমে এসেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের বেশি দামে কেনা আগের চাল বিক্রি হয়ে গেলেই কম দামের নতুন চাল বিক্রি শুরু হবে।
চালের আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তের পর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, কেজিপ্রতি ছয় টাকার মতো কমে আসবে চালের দাম।
ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এমএম/ডব্লিউবি

মন্তব্য করুন