স্কুলছাত্রীকে অপহরণচেষ্টায় কলেজছাত্রের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ চেষ্টার দায়ে অপর কলেজছাত্র সৈয়দ ফয়সাল দিপুকে (২০) ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার বিকালে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শিশু আদালতের বিচারক আল মামুন এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামি সৈয়দ ফয়সাল দিপুর উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
সৈয়দ ফয়সাল দিপু জেলার চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামের সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন বাদশার ছেলে ও পাশের গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার একটি কলেজ থেকে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী উৎসব কুমার বৈরাগী ঢাকাটাইমসকে বলেন, চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের স ম রকিবুউজ্জামান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাকিয়া ইসলাম সাথীকে পাশের কুনিয়া গ্রামের সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন বাদশার ছেলে সৈয়দ ফয়সাল দিপু স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই বিরক্ত করত। ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর সকাল ছয়টায় দিকে তাকিয়া ইসলাম সাথী প্রাইভেট পড়তে স্কুলে যায়। এসময় সৈয়দ ফয়সাল দিপু সেখানে পৌঁছে একটি মোটরসাইকেলে সাথীকে জোর করে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় সাথীর ডাক চিৎকারে স্থানীয় গ্রামবাসী ছুটে এলে দিপু মেয়েটিকে ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী সৈয়দ ফয়সাল দিপুকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওইদিন মেয়েটির বাবা এস কে নিজামুল হক শেখ বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় সৈয়দ ফয়সাল দিপুকে আসামি করে একটি অপহরণচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। পরে সৈয়দ ফয়সাল দিপু আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাকে শিক্ষার্থী বিবেচনা করে মামলার বিচার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
চিতলমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম ফিরোজ আলম তদন্তে অপহরণ চেষ্টার সত্যতা পেয়ে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ ফয়সাল দিপুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের বিচারক সাতজন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য শেষে সৈয়দ ফয়সাল দিপুকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। বুধবার আদালতের বিচারক আসামি দিপুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সলিমুল্লাহ সেলিম।
(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)