সার্জেন্ট কায়সারের মামলা প্রত্যাহার দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ

জবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০১৭, ২০:৩৬

রাজধানীর বাংলা মোটরে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় পুলিশ সার্জেন্ট কায়সার হামিদের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা প্রথম আলোর খবরের প্রতিবাদে পত্রিকাটির বেশ কিছু কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

বুধবার সকালে জবির নতুন বিল্ডিংয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃষ্টির মধ্যে মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আলো বয়কটের ঘোষণা দেয়া হয়।

সমাবেশে জবি বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভোবে মামলা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

বাংলামোটরে ট্রাফিক সার্জেন্টের সঙ্গে হালকা ধাক্কাধাক্কি হয় দাবি করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক রোনিয়া সুলতানা ঝুমুর বলেন, ‘সেদিন শিক্ষার্থীরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে সঠিক পথ ধরে চলছিল। এ বিষয়ে সার্জেন্ট কায়সার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন- হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল। আবার অন্য কিছু শিক্ষার্থী তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু মামলায় সেটা হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর হয় কীভাবে? তিনি ৩০৭ ধারা দিয়েছেন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে।’

রোনিয়া সুলতানা আরও বলেন, ‘জবি শিক্ষার্থীরা এমনিতেই প্রচ- কষ্ট করে, যা দেশের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করতে হয় না। সেখানে তাদের সামান্য অন্যায়ের কারণে এত বড় মামলা মেনে নেওয়া যায় না।’ মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি করেন তিনি। বাংলামোটরের অপ্রীতিকর ঘটনা ও মামলার বিষয়ে জবির প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মাদ বলেন, ‘বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে এসছে। আমরা এটি সমাধানের চেষ্টা করছি।’

গত সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় জবির তিনটি বাস উল্টো পথে চলতে চাইলে তাতে বাধা দেন কর্তব্যরত পুলিশ সার্জেন্ট কায়সার হামিদ। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ সার্জেন্টের বাগবিত-ার একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এক দিন পর জবির ৩০-৪০ জন অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেন সার্জেন্ট কায়সার। মামলার এজাহারে দায়িত্ব পালনকালে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, যানবাহন ও জন চলাচলে বাধা এবং সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগ করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/আইএইচ /মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :