সোয়ানের বরিশাল চ্যাপ্টার কমিটি গঠন

ব্যুরো প্রধান, বরিশাল
 | প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০১৭, ১৯:৪৮

সাউথ ওয়েস্টার্ন অ্যাকুয়াকালচার অ্যাডভাইজারি নেটওয়ার্ক সোয়ান-এর বরিশাল চ্যাপ্টার কমিটি গঠিত হয়েছে। সোমবার ওয়ার্ল্ডফিশ বরিশাল অফিস মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. ওয়াহিদুজ্জামানকে সভাপতি ও পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাককে সাধারণ সম্পাদক করে নয় সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি ঝালকাঠি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রিতিশ কুমার মল্লিক, যুগ্ম সম্পাদক বিএফআরআই কলাপাড়ার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাহানুর জাহিদুল হাসান সানী, কোষাধ্যক্ষ পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গির আলম, নির্বাহী সদস্য পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আবুল হাসানাত, বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তপন কুমার পাল, বাণিজ্যিক মৎস্যচাষি সাইফুল ইসলাম টুটুল, হ্যাচারি মালিক কামরুল হাসান রাসেল।

কমিটির উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. বজলুর রশীদ ও এআইএন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

সভায় আগামী ৩ মাসে বরিশাল অঞ্চলে সোয়ানের কর্মপরিকল্পনা করা হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মাছ চাষ ও এই সেক্টরে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে এ সেক্টরে সাথে সম্পৃক্ত স্টেকহোল্ডারদের কারিগরি দক্ষতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে সাউথ ওয়েস্টার্ন অ্যাকুয়াকালচার অ্যাডভাইজারি নেটওয়ার্ক। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত মাছ চাষে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এই নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের ইউএসএআইডি অ্যাকুয়াকালচার ফর ইনকাম অ্যান্ড নিউট্রিশন প্রকল্পের উদ্যোগে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই নেটওয়ার্ক যাত্রা শুরু করেছে।

এআইএন প্রকল্পের বরিশাল অঞ্চলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল বিশেষত বরিশাল বাংলাদেশের মাছ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র। সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে চাষিদের কারিগরি সহায়তা দেয়া হলেও তা অনেক বিচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরকারি, বেসরকারি, এনজিও, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং প্রাইভেট সেক্টরসহ সকলকে এক প্লাটফর্মে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মাছ চাষি এবং চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার যেমন হ্যাচারি, নার্সারি, পোনা বিক্রেতা, মাছের খাবার ও অন্যান্য উপকরণ বিক্রেতা এবং বিভিন্ন ধরনের সেবাদানকারীদের সমস্যার কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে। মৎস্য সেক্টরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্র চিহ্নিত ও গবেষণার জন্যও উদ্যোগও এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :