বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি সূত্র জানায়, ১৫ আগস্ট শোক দিবস উপলক্ষে এই সাক্ষাতে দেশের বন্যা পরিস্থিতি, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও এর পর্যবেক্ষণ নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী বেরিয়ে আসার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। তবে তিনি বলেন, ‘তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা বলব না।’ মন্ত্রী আরও জানান, বৈঠকে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হযেছে।
আজ বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে বঙ্গভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাত ১০টার পর তার বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে আসেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগে বঙ্গভবনে যান ওবায়দুল কাদের ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর প্রধানমন্ত্রীর পর সেখানে যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাতের খবর নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানান, রাষ্ট্রপতি বন্যায় মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের বন্যাপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রীর উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে দলীয় একটি সূত্র ঢাকাটাইমসকে জানায়, মূলত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও এর পর্যবেক্ষণ নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলতেই বঙ্গভবনে যান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গত সোমবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে ওবায়দুল কাদের ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে দলের অবস্থান জানিয়ে আসেন।
তারও আগে শনিবার রাতে কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে গিয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদেরের এ দৌড়ঝাঁপের কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণে যেসব বিষয় আওয়ামী লীগ আপত্তিকর মনে করে তা আদালতের মাধ্যমে এক্সপাঞ্চ করানোর বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে বার্তা দেয়া হচ্ছে।
গত ১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে কিছু ক্ষেত্রে সংসদ ও বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে ক্ষমতাসীন দলটি।
এ নিয়ে সরকারের মন্ত্রী ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা কঠোর সমালোচনা করছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার।
(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/মোআ)