মন্দিরের জায়গা দখলের অভিযোগ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা
 | প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৩০

পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর সার্বজনীন কালি মন্দিরের জায়গা দখলের প্রতিবাদে এবং অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের দাবিতে সোমবার বোঁথর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিক্ষোভ করেছেন।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কিংকর সাহা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব কুমার বিশ্বাস ও হিন্দু প্রধান বিরেন দাসের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, ১শ বছরের অধিক সময় ধরে এই কালিমন্দিরে পূজা-অর্চনা হচ্ছে। কিন্তু কথিত আমলনামার বলে জনৈক নবীর উদ্দিন গং ৪ শতাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে দখল করা হচ্ছে। এখন পূজা করাই দুরুহ হয়ে পড়েছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কিংকর সাহা মামলা করলে আদালত মন্দিরের পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করেছে, যা বিচারাধীন। এ অবস্থায় মন্দিরের জায়গা দখল অব্যাহত রেখেছে।

সমস্যার সমাধান না হলে দুর্গাপূজাসহ অন্য পূজা না করার ঘোষণা দেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেহেলী লায়লা বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্থ করে বলেন, জমি পরিমাপ করে যার যতটুকু, তাকে ততটুকু বুঝিয়ে দেয়া হবে। মন্দিরের জায়গা কেউ দখল করতে পারবে না। আর কেউ যদি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে কালি মন্দির কমিটির এক সভা রবিবার রাতে বোঁথর চড়ক বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। বিরেন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কিংকর সাহা, রাজিব বিশ্বাস, স্বপন বিশ্বাস, পুর্ণচন্দ্র বর্মন, শ্যামসুন্দর ঘোষ, নীলমনি ঘোষ, অজিত ঘোষসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, মন্দিরের জায়গা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা না হলে তারা আগামী দুর্গাপূজাসহ কোন পূর্জা-অর্চনা করবে না।

এদিকে নবীর উদ্দিন গং মন্দিরের জায়গা দখল করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে মন্দিরের কোন জায়গাই নেই। তারপরও মন্দির থাকায় সুষ্ঠুভাবে পূজা-অর্চনা হচ্ছে। কেউ কখনও বাধা দেয়নি। এই জমির ৩২ শতাংশ স্কুলের নামে এবং ৪ শতাংশ জায়গা ব্যক্তি নামে রেকর্ড রয়েছে। তবে এসএ রেকর্ডের মন্তব্য কলামে মন্দিরের নাম উল্লেখ আছে।

অভিযুক্তদের দাবি, মন্দিরের জায়গা দখলের নামে যে বিক্ষোভ করা হয়েছে, তা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে ভুল ধারণা দেয়ার অপচেষ্টা মাত্র।

(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :