রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলায় বিজেপি নেত্রী বহিষ্কার
নির্যাতনে প্রাণ যাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রার্থনা সভায় সকলকে আমন্ত্রণ জানানোর ‘অপরাধে’ বহিষ্কার করা হলো ভারতের আসাম রাজ্যের ভারতীয় জনতা পার্টি(বিজেপি)’র নেত্রী বেনজির আরফানকে। তিনি তিন তালাক বিরোধী লড়াইয়েও কাজ করছেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইউনাইটেড মাইনরিটি পিপলস ফোরাম মিয়ানমারে হত্যার শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য গতকাল শনিবার ফ্যান্সি বাজারে প্রার্থনা সভার আয়োজন করে। ভারতীয় জনতা মজদুর মোর্চার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেনজির দলের ফেসবুক পেজে ওই সভায় সকলকে যোগ দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে পোস্ট লেখেন। তার জেরেই আসাম রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ শইকিয়া বেনজিরকে বহিষ্কার করে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন।
বলা হয়, দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে, দলের নীতি-আদর্শের তোয়াক্কা না করে, মিয়ানমারের ঘটনা নিয়ে অন্য সংগঠনের হয়ে কর্মসূচির কথা এভাবে পোস্ট করে নিয়ম ভেঙেছেন বেনজির।
এ নিয়ে বেনজিরের অভিযোগ, দলীয় সভাপতি রঞ্জিৎ দাসের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে মুখ খোলাতেই তার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিল দল। তিনি ভুল করে ওই বার্তায় ‘প্রতিবাদী অনশন’ লিখেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত ওই কর্মসূচিতে যোগও দেননি। কিন্তু দলের সংখ্যালঘু ফোরামের মুখ্য আহ্বায়ক রোশেনারা বেগম ওই সভায় অংশ নিলেও তাকে বহিষ্কার করা হয়নি।
বেনজির বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে বিজেপিতে আছি। দলের খারাপ সময়ও সঙ্গ ছাড়িনি। বিজেপির ভিত্তি না থাকলেও জনিয়াতে বিজেপির হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে ভালো ফল করেছি। তারপরেও যেভাবে সামান্য ভুলে আমার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলো- তা অন্যায়। তিন তালাকের শিকার এক নারীর বিরুদ্ধে সভাপতির এই আক্রোশমূলক কাজের জবাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাইব আমি।’
তার প্রশ্ন, রঞ্জিৎ দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এত অভিযোগ থাকলেও কেন তাকে সরানো হচ্ছে না? রাজ্য বিজেপি ও রঞ্জিৎ খোদ অবশ্য বেনজিরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বেনজির জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। দল তাকে বহিষ্কার করলেও তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/এসআই)