নিরাপদে ৩৬ হাজার ফ্লাইট, প্রথম দুর্ঘটনা: ইউএস বাংলা
বিমান পরিচালনার ব্যবসা চালুর পর তিন বছরে ২৬ হাজার ফ্লাইট নিরাপদে পরিচালনার পর এই প্রথম দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ।
কেন বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটার কারণ জানার চেষ্টা চলছে চলে জানিয়েছে ইউএস বাংলা। এ জন্য নেপালে কর্মকর্তা পাঠিয়েছে তারা। বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের পরই এ বিষয়ে জানা যাবে বলে আশাবাদী ইউএস বাংলা।
সোমবার দুপুরে দুর্ঘটনার পর ঢাকায় বিমান বিধ্বস্তের পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জিএম, মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) কামরুল ইসলাম তাদের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়। সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ৫০ জনের বেশি যাত্রী নিহত হয়।
কামরুল বলেন, ‘সাড়ে তিন বছরে আমরা ৩৬ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করেছি। আগে কখনও এমনটি হয়নি। তবে এ বিষয়ে নেপালের সিভিল এভিয়েশন এবং দুর্ঘটনায় পতিত বিমানের ব্লাক বক্স উদ্ধারের পর জানা যাবে।’
দুর্ঘটনার পতিত বিমানে বাংলাদেশি ৩২, নেপালি ৩৩, চাইনিজ ও মালদ্বীপের এক যাত্রী ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ধারণা এটি একটি দুর্ঘটনা। ক্যাপ্টেন লুৎফরসহ আরও একজন নেপালের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। তারা দুর্ঘটনার বিষয়ের ওপর খোঁজ-খবর নিয়ে আমাদের জানাবেন। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হবে।’
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। নেপালি কর্তৃপক্ষও এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ জানাতে পারেনি।
(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/বিইউ/ডব্লিউবি)