ক্যামেরাপার্সন সুমনকে নির্যাতন, ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড়
বরিশালে ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপার্সন সুমন হাসানের ওপর ডিবি পুলিশের বর্বর নির্যাতনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়। অমানবিক নির্যাতনের বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে সারাদেশে নিন্দার ঝড় শুরু হয়।
কবি ও লেখক হেনরী স্বপন তার ফেসবুক ওয়ালে বেশ রাগত স্বরেই লিখেছেন, ‘সম্মাননা স্মারকে মুতে দেয়া উচিৎ। টিভি চ্যানেল ডিবিসির বরিশালের ক্যামেরাপার্সন সুমন হাসানের ওপর ডিবি পুলিশের বর্বর নির্যাতন এবং সাংবাদিকদের সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প রটনার প্রতিবাদে ডিবিসির স্টাফ রিপোর্টার অপূর্ব অপুর আজ এখনই বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রদত্ত সংবর্ধনা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে, ওদের সম্মাননা স্মারকে মুতে দেয়া উচিৎ।’
রাজশাহী জেলার আব্দুল হাই নামে এক ব্যবসায়ী তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘হায় হায় পুলিশ। শেষমেশ সাংবাদিকদের আবারো ধরলা, ধিক্কার তোমাদের’।
ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিক শরীফ খিয়াম ঈয়ন লিখেছেন, ‘ধিক্কার পুলিশকে। আমার সন্দেহ কনস্টেবল মাসুদ গোপালগঞ্জের মুফতি হান্নানের পরিচিত কেউ হতে পারে।’
হাসান মেজর নামে এক শিক্ষক তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘অমানুষের বাচ্চা তোমরা হাতে নিয়ে রাইফেল, বানাতে চাও বাংলাদেশকে আস্ত একটা হেল!!!’।
বরিশালের নারী উন্নয়ন কর্মী রেবেকা সুলতানা লিখেছেন, ‘বরিশাল ডিবি পুলিশ কর্তৃক ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপার্সন সুমন এর ওপর হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই....। এরকম আচরণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করি।’
মোস্তাফিজুর রহমান সুমন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘সাংবাদিক পেটাও তালে তালে! পেটাও পেটাও জোরশে পেটাও!! শাস্তি শুধু ক্লোজডডডড !!’
৭১ টেলিভিশনে ঢাকায় কর্মরত ইশতিয়াক ইমন লিখেছেন, ‘কোনো একদিন আমিও লিখবো...মানুষ থেকে পুলিশ, পুলিশ থেকে জানোয়ার হওয়ার গল্প।’
এই ঘটনায় স্ব-স্ব ফেসবুক টাইমলাইনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বরিশালের সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিকসহ বিভিন্নস্তরের মানুষ। যাদের দাবি একটাই যে, সাংবাদিক সুমন হাসানকে নির্যাতনকারীদের বিচার চাই। এছাড়া সকলেই সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৪মার্চ/টিটি/এলএ)