সামনে ইমরান, পেছনে কে?

তায়েব মিল্লাত হোসেন
 | প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০১৮, ১০:৫১

আলামতমতোই ফল এসেছে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে। এগিয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ―পিটিআই। দলটির নেতা ইমরান খান সম্ভাব্য সরকারপ্রধান। জনতার ইচ্ছা প্রতিফলিত হলো এতে, নাকি সামরিক ছকে সাজানো ভোটে বাজিমাত করলেন সাবেক এ তারকা ক্রিকেটার। সবটা মিলে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা আসলে কে বা কারা? প্রশ্নগুলো সহজ। উত্তর কঠিন। জটিল এক সমীকরণ।

এসবে আমরা একটু পরে যাই। তার আগে হয়ে যাক কৌতুক। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও পাকিস্তানের সাবেক তিন রাষ্ট্রপ্রধানের ঠাঁই হয়েছে নরকে। হঠাৎ তিনজনেরই ইচ্ছে হলো আপন আপন দেশের খোঁজখবর নেবেন। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফোন করলেন। কথা শেষে তার বিল এলো পাঁচ হাজার ডলার। এরপর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কথা বললেন। তার বিল হলো চার হাজার রুবল। সবার শেষে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট কল করলেন। তার বিল মাত্র পাঁচ রুপি! অপমানিত পাকি হুঙ্কার দিয়ে লাইনম্যানকে বললেন, ‘তুমি কি জানো না আমি পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট? আমার এত কম বিল এলো কীভাবে?’ নরকের লাইনম্যানের ঠান্ডা মাথার জবাব, ‘স্যার, ওনাদের কল ছিল নরক থেকে পৃথিবীতে। আর আপনার কল ছিল নরক থেকে নরকে। আপনার কল তো লোকাল কল, তাই বিল মাত্র পাঁচ রুপি।’

দশকের পর দশকের সেনা শাসন, ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ- সবকিছু মিলে পাকিস্তান আর পাক সাফ থাকতে পারেনি। পৃথিবীতেই নরকতুল্য হয়ে উঠেছে দেশটি। যেখানে ধর্ষিতা কন্যাকে, বোনকে মেরে ফেলে আপন পরিবারের সদস্যরা। যেখানে ধর্মের নামে হানাহানি-খুনোখুনি, দাঙ্গা-ফ্যাসাদের মতো অধর্মের কাজ অবিরাম লেগে থাকে।

এই যে ২৫ জুলাইয়ের জাতীয় নির্বাচন। একে ঘিরেও সহিংসতার নানা রূপ দেখিয়েছে পাকিস্তান। ভোটের দিনের শুরুতে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সোয়াবি জেলায় আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির একটি ঘটনায় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার একটি ভোটকেন্দ্রে এক আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত এবং আহত হয়েছে শতাধিক। আগে থেকেই সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ের কেন্দ্রে থাকা পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলায় রক্তপাত ঘটেছে নির্বাচনী প্রচারণাকালেই। প্রচারণার সময় পাখতুনখাওয়ার পেশোয়ার, বান্নুু ও ডেরা ইসমাইল খানে সহিংসতায় নিহত হয়েছে বেশ কিছু লোক। ১৩ জুলাই বেলুচিস্তানের মাস্তুংয়ে একটি নির্বাচনী সমাবেশে আত্মঘাতী এক বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছে দেড় শতাধিক মানুষ। পাকিস্তান মানেই এখন যেন আত্মঘাতী হামলার এক দেশ।

সবটা মিলে জিন্নাহর ‘পোকায় কাটা পাকিস্তান’ নিজেই এক কীটের মতো হয়ে আছে পৃথিবীর কাছে। সংকটে জর্জরিত পাকিরা খড়কুটোর মতো আঁকড়ে থাকতে চায় ক্রিকেটে। এতে গৌরবের বড় রকমের গোড়াপত্তন করেন অলরাউন্ডার ইমরান খান। ১৯৯২ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেন। ক্রিকেট তারকা থেকে একটা সময় নাম লেখান রাজনীতিতে। নিজেই দল গড়েন। সব ঠিক থাকলে সেই দল এবার প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে। দেশটির কাপ্তান হতে যাচ্ছেন ইমরান খান। কিন্তু সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি কি পাকিস্তানকে দিশা দিতে পারবেন? তিনি নিজে কি আছেন ঠিক পথে?

পাকিস্তানের নির্বাচনী আওয়াজ শুরুর পরই যেসব আলোচনা, লেখনী, বিশ্লেষণ- সেসবে দেখা যাচ্ছে সেনা সমর্থনই এগিয়ে দিয়েছে ইমরান খানকে। তাই সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়, কতটা কী করতে পারবে তিনি। বর্তমান ধারায় চলতে থাকলে পুতুল হতে হবে তাকে। আর সুতো হাতে আড়াল থেকে তাকে নাচাবে, গাওয়াবে, বলাবে উর্দীধারীরা। এ আশঙ্কা যদি সত্য হয়, তবে ইমরানের পক্ষে পাকিস্তানকে পাক সাফ করা সম্ভবপর হবে না। উল্টো ক্রিকেট-ভুবনজয়ী কাপ্তানকে নন্দিত নায়কের আসন থেকে নিন্দিত প্রস্থানের পথ বেছে নিতে হবে। সব সূত্র, সব বিচার-বিশ্লেষণ-পর্যবেক্ষণ কিন্তু সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। পুতুলনাচের নতুন এক ইতিকথা লিখতে হতে পারে ইমরানকে নিয়ে।

এগিয়ে পিটিআই

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ইমরানের দল পিটিআইয়ের জয় সুনিশ্চিত। পার্লামেন্টের ২৭২টি আসনের মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআই ১২০ আসনে এগিয়ে আছে। সরকারের গঠনের জন্য দরকারি ১৩৭-এর ম্যাজিক ফিগার থেকে খুব বেশি দূরে নেই দলটি। যেখানে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন ৬৪ আসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়ালের নেতৃত্বাধীন পিপিপি ৪৩ আসন নিয়ে অনেকটাই দূরে অবস্থান করছে। এবার ১০ কোটি ৬০ লাখ ভোটারের মধ্যে ৫০-৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

তবে প্রতিদ্ব›দ্বী দলগুলো বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন সমর্থকরা এখনো ইমরানের জয়ের ব্যাপারটি মেনে নিচ্ছে না। ভোট গণনা এবং ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু ভোট নিয়ে সব অভিযোগ নাকচ করে ইমরান বলেছেন, ‘এ নির্বাচন পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু হয়েছে।’ তবে তার আশ্বাস, ‘আপনারা নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে মনে করে থাকলে বা আপনাদের কোনো সন্দেহ থেকে থাকলে আমরা তা তদন্ত করে দেখতে সহযোগিতা করব। আমরা আপনাদের পাশে থাকব।’

পরোক্ষ এক অভ্যুত্থান?

পাকিস্তানের ইতিহাস সাত দশকের ইতিহাস। এবার হয়েছে দেশটির ১১তম জাতীয় নির্বাচন। অনেকটা সময় সরাসরি, আবার কখনো আড়ালে থেকে পাকিস্তান শাসন করা হয়েছে এবং হচ্ছে সামরিক ছাউনি থেকে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কখনোই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেননি। আর এ প্রক্রিয়ার সুযোগ নিয়েই পাকিস্তান হয়ে উঠেছে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য। আসন গেড়ে বসেছে মোল্লাতন্ত্র।

এবারের যে নির্বাচন হলো তার মধ্যেও ‘গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থান’ দেখছেন বিশ্লেষকরা। এর পেছনেও কলকাঠি নেড়েছেন দেশটির সামরিক কর্তারা। তাদের পূর্বসূরিরাও হয় সরাসরি ক্ষমতা দখল করেছেন, নয়তো বিশেষ কায়দায় নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটিয়েছেন। যখন যে রাজনৈতিক দলের প্রতি তারা বিরাগ হয়েছে, তাদের ক্ষমতার মসনদ থেকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। এসব বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। সে কারণে পাকিস্তানে প্রথমবারের মতো একটি নির্বাচিত সরকার ২০১৩ সালে তাদের মেয়াদ শেষ করতে পেরেছিল। তারপর আবার উল্টোস্রোতে চলতে শুরু করে পাকিস্তান। সমরতন্ত্র গেড়ে বসার আলামত দেখা যায়। সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপ দিয়েছে সেই ইঙ্গিত। যেমন, আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফসহ বেছে বেছে বিদায়ী সরকারের কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেছে। কারাবন্দি করেছে। এ বিষয়ে আইনজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, পাকিস্তানে বিচার বিভাগ বিভিন্ন আইন ব্যবহার করে বিদায়ী সরকারের ডানা কেটে দিয়ে নির্বাচনে বিরোধী পক্ষগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।

নির্বাচনের দিন তিনেক আগে রাওয়ালপিন্ডি বার অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে বিচারপতি সিদ্দিকী বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। নওয়াজ শরিফকে যেন মুক্তি দেয়া না হয়, সে জন্য সংস্থাটি চাপ সৃষ্টি করে বলে তিনি দাবি করেন।

নির্বাচনের আগে আরেকটি বিষয় দেখা গেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। প্রশাসন এসব জঙ্গিগোষ্ঠীর অপকর্ম দেখেও না দেখার ভান করছে- এমন অভিযোগও সামনে এসেছে। অন্যদিকে ভোটের প্রক্রিয়ায় বা তা পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ভোটের প্রচারের সময় থেকেই নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদের অনেক প্রার্থীকে দল ছেড়ে পিটিআইয়ে যোগ দিতে অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধ্য করা হয়েছে। যারা দল ছাড়ার টোপে রাজি হননি, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বা তাদের হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিও চাপে রয়েছে। দলটির সিনিয়র কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ নতুন করে তোলা হয়েছে।

এমনকি গণমাধ্যমও নির্বাচনী সংবাদ স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারছে না। বাছাই করা কিছু খবর প্রচারে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে। নির্বাচনের ফল থেকে আঁচ করা যাচ্ছে কেউ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারছে না। এমন পরিস্থিতি তৈরির পেছনেও সামরিক বাহিনীর কৌশল রয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আর এ প্রেক্ষাপটে প্রকৃত গণতন্ত্র পাকিস্তান থেকে আরো দূরে সরে যাচ্ছে। ইমরান খান ক্ষমতায় গেলেও লাগাম যে উর্দিওয়ালাদের হাতে থাকবে, তা অনেকটাই স্পষ্ট। তাই এবারের নির্বাচন অনেকের কাছেই পরোক্ষ এক অভ্যুত্থান। নির্বাচনী প্রচারকালে সরকার ও প্রশাসনে সেনা হস্তক্ষেপ প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন ইমরান। নিজে সরকারে এসে তার বিপরীত কিছু করার নৈতিক ভিত্তি তার আর সেভাবে থাকছে না, এটা একরকম নিশ্চিত।

ইমরানের ভারত-দর্শন

ক্রিকেট-জীবনে ব্যাটে-বলে সমান ধার ছিল ইমরানের। মাঠে দেখিয়েছেন সেই ঝলক। ক্রিকেটীয় কারণ ছাড়াও তার নায়কোচিত চেহারা আর দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্বও দেখার মতো। তা অনেক তরুণীর ঘুমও হারাম করে দিয়েছিল। এ তালিকা পাকিস্তান ছাপিয়ে গিয়েছিল অন্য দেশেও। তাদের শত্রæ-ভাবাপন্ন ভারতের অনেক মেয়েই ইমরানের প্রেমে পড়েছিলেন। ভারতীয় কারও কারও প্রেমে মশগুল ছিলেন তিনিও। সেই ইমরান রাজনীতিতে জড়িয়ে ভারত-কার্ড বারবার ব্যবহার করেছেন। এবার ছিলেন সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। করাচিতে নির্বাচনী প্রচারকালে তিনি অভিযোগ করেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি নওয়াজ শরিফ ভারতের স্বার্থ রক্ষা করছেন। নওয়াজের সুরে সুর মিলিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমেও পাকিস্তানের নির্বাচনে জালিয়াতি হবে বলে আগাম প্রচার করা হচ্ছে। এটা পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র।’

নির্বাচনী প্রচারকালে প্রায়ই নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধুনো করেছেন ইমরান। তার দাবি, মোদির জন্যই দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। তার একগুঁয়ে পাকিস্তানবিরোধী নীতিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ইমরানের অভিযোগ, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বরাবরই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছেন। এমনকি নরেন্দ্র মোদিকে নিজের ঘরে আমন্ত্রণ জানিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখিয়েছেন। ভারতের বিজেপি সরকারই দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট করছে।’

ইমরান ক্ষমতা রক্ষায় ভারতবিদ্বেষ বজায় রাখবেন, এই শঙ্কার কথা বলছে অনেকেই। তিনি সেনা-আশীর্বাদে আছেন এটা পরিষ্কার। তালিবানদের প্রতি তার অনুকম্পা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে ইমরানের সরকার চীনের সঙ্গে দোস্তির পথে হাঁটবে। সেই ইঙ্গিতও মিলছে। এর কোনোটাই ভারতের জন্য সুখবর নয়। আবার ইমরানের কোনো ঘনিষ্ঠজন নেই ভারতীয় রাজনৈতিক মহলে। তাই আপাতত ভারত ইমরানের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না, এটা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে ভোটে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর ভারতের প্রতি ইমরানের সুর অনেকটা নরম হয়েছে। ‘ভারত এক কদম এগোলে, আমরা দু-কদম এগিয়ে যাব। আমাকে বলিউডের হিন্দি ফিল্মের ভিলেনের মতো বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার সেটার অবসান ঘটাতে চাই। আমরা বন্ধুত্ব চাই। আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে চাই। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাই নতুন সরকারের লক্ষ্য হবে।’- সবশেষে এই ভাষ্য ইমরানের।

সম্পর্ক উষ্ণ হলেই কেবল দ্বিপক্ষীয় সিরিজে জড়ায় ক্রিকেটপাগল দুটি দেশ। এটা হলে ক্রিকেট দুনিয়ারও মঙ্গল। অলরাউন্ডার ইমরান সেই মঙ্গলবারতা শোনাতে পারবেন তো?

তায়েব মিল্লাত হোসেন: সাংবাদিক ও সাহিত্যিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :