অসহনীয় উত্তাপ প্রকৃতি ও রাজনীতিতে

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
 | প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১২

জলবায়ু ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞগণ কয়েক বছর থেকেই বলে আসছেন যে- বিশ্বের জলবায়ু দ্রুত উষ্ণ তাপমাত্রায় যেভাবে পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে তাতে পৃথিবীর অনেক অঞ্চলই মানুষের বসবাসের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে। গত কয়েক বছর আমরা সেই লক্ষণ দেখেও আসছিলাম। বিশ্বের জলবায়ুর এই পরিবর্তনের পেছনে উন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণের মাত্রাতিরিক্ত কর্মকাণ্ডই প্রধানত দায়ী। এরই মধ্যে উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরুর বরফ খুব দ্রুত গতিতে গলে যাচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠে পানি বাড়ছে, অনেক অঞ্চল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্ব জলবায়ু উষ্ণায়নের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার তালিকায় রয়েছে। এ সম্পর্কে গত কয়েক বছর থেকে বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদ্গণ দেশে ও বিদেশে কথা বলে আসছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু উষ্ণায়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলন ও সেমিনারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়রোধে করণীয় শীর্ষ বেশকিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন যা নিয়ে তখন থেকেই আমাদের দেশেও গণমাধ্যমসহ সর্বত্র ব্যাপক আলোচনা ও সচেতনতা তৈরি হতে শুরু করেছে। তবে আমাদের দেশে খাল, বিল, নদী, নালা, পুকুর, ডোবা, গাছপালা ইত্যাদি যেভাবে সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তা ছিল সেটি ব্যাপকভাবে অনেক আগে থেকেই অবহেলিত হয়ে আসছিল। দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন যতটা বৃদ্ধি পাচ্ছিল তার সঙ্গে প্রকৃতিকে রক্ষা করে মানুষের বসবাস ও জীবন ব্যবস্থাকে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে আমাদের সমাজে ব্যাপক ঘাটতি পরিলক্ষিত হতে থাকে।

গত কয়েক বছরে শহরগুলোতেই শুধু নয় গ্রামাঞ্চলেও জলাশয় ভরাট করে মানুষ বাড়িঘর, দালানকোঠা, রাস্তাঘাট নতুন নতুন স্থাপনা ইত্যাদি নির্মাণে কোনো ধরনের ভারসাম্যমূলক নীতি অনুসরণ করেনি। ফলে দেশ এখন প্রাকৃতিকভাবেই আগের অবস্থানে নেই। গাছপালা উজাড় করা হচ্ছে, যত্রতত্র ইটের ভাটা, কলকারখানা ইত্যাদি স্থাপন করা হচ্ছে। জন ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশে পরিবেশ রক্ষা করার তাগিদ একটা বড়ো সংখ্যক জনগোষ্ঠী এবং উঠতি ধনিক গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে মোটেও মেনে চলছেন না। ফলে বিশ্বব্যাপী যখন জলবায়ুর চরমভাবাপন্ন অবস্থা তৈরি হচ্ছে তার অভিঘাত বাংলাদেশে কী পরিমাণ অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে তা গত বছর কিছুটা জানান দিয়েছিল, এবছর মোটামুটি দেখাচ্ছে যে- প্রকৃতিকে নিয়ে হেলফেলা করার পরিণতি মোটেও প্রকৃতি সহ্য করবে না। এখনই তাপমাত্রা যে পর্যায়ে প্রতিদিনই রেকর্ড ভঙ্গ করছে তা যদি আরো এক দুই মাস চলতে থাকে তাহলে এদেশে বসবাস করা বেশিরভাগ মানুষের পক্ষেই অসম্ভব ব্যাপার হয়ে উঠতে পারে। দিনের বেলায় এখন বাইরে চলাফেরা করা দায়, মাঠে কাজকর্ম বলতে গেলে বন্ধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। মাঠ-ঘাট শুকিয়ে যাচ্ছে, ফসল নষ্ট হওয়ার এরই মধ্যে উপক্রম হয়ে গেছে। এমনটি আরো কিছুদিন চলতে থাকলে আমাদের আয় উপার্জন, খাবার-দাবার প্রায় সবই তো হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। এমনিতেই বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটে আজ ডাল আমদানি করা হচ্ছে তো কাল আলুর সংকট দেখা দিচ্ছে। গতবছর নভেম্বরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় আমাদের আলুসহ রবিশস্য গোড়াতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর ফলে গোটা শীত মৌসুমে পর্যাপ্ত শাকসবজির অভাব ছিল, দামও তাই অতীতের সকল রেকর্ডই ভঙ্গ করেছিল। এখন আলুর মৌসুমে পর্যাপ্ত আলু নেই তাই দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। সামনে বোরো ধান যদি কৃষক ঘরে তুলতে না পারে তাহলে উপায়টা কী হবে? আমরা কতগুলো দ্রব্যসামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি করতে পারবো তা ভাবতেই দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়।

তাপদাহ বাংলাদেশেই শুধু নয় প্রতিবেশী দেশগুলোতেও বাড়ছে। আবার কোথাও কোথাও নজিরবিহীন বৃষ্টিপাত হচ্ছে। প্রকৃতির এ ধরনের ওলট-পালট যত বেশি বৃদ্ধি পেতে থাকবে আমাদের মতো দেশের অবস্থা তত বেশি শোচনীয় হয়ে পড়বে। এখন দেশে যে পরিমাণ উষ্ণতা বাড়ছে তাতে ধনিক শ্রেণি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাড়িঘর, অফিস, যানবাহন বাড়িয়ে নিজেদের সুরক্ষা করতে পারছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে তা করা সম্ভব নয়। অতিরিক্ত উত্তাপে মানুষ নানা রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া ও নেওয়ার মতো সুযোগ সুবিধাও দেশে পর্যাপ্ত নেই। সামনের দিনগুলোতে এ নিয়ে স্বাস্থ্য সংকট আরো বৃদ্ধি পেলে কীভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো যাবে তেমন কোনো আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনেও নেই। সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা অন্যান্য সংগঠনগুলোও প্রাকৃতিক এমন বৈরী অবস্থায় কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবে তারও কোনো কুলকিনারা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবহাওয়াবিদগণ নিকটবর্তী দিনগুলোতে অসহনীয় এই গরম কমে আসার কিংবা বৃষ্টিপাত হওয়ার কোনো পূর্বাভাস এখনো দিতে পারছেন না। এরই মধ্যে শিশু, কৃষক, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ মানুষদের নিয়ে বেশিরভাগ পরিবারই চরম দুর্দশায় রয়েছেন। এই অবস্থার দ্রুত অবসান ঘটবে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে দেশে বিগত বছরগুলোতে প্রকৃতিকে ধ্বংস করে যেভাবে আমরা নিজেদের সুবিধামতো স্থাপনা নির্মাণ করে চলেছি, বন উজাড় করেছি, জলাধার বলতে গেলে নাই করে দিয়েছি- এর ফলে আগামী বছরগুলোতে ঋতুর পরিবর্তন আমাদেরকে অস্তিত্বের সংকটে ফেলে দিতে পারে। এখনই যদি আমরা ঘুরে না দাঁড়াই, প্রকৃতি সঙ্গে আপস করতে না শিখি, তাহলে প্রকৃতির নিয়মেই আমরা শাস্তি ভোগ করবো- এর কোনো ব্যত্যয় ঘটার কারণ নেই। প্রকৃতিকে তদবির করা যায় না, উৎকোচ দিয়ে বশীভূত করা যায় না। প্রকৃতির নিয়মেই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য তার স্থান অবারিত করে রাখতে হবে। এই বোধ দেশের নীতিনির্ধারক থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। আইনের প্রয়োগ ও রক্ষার মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে বাঁচার কথা শিখতে হবে।

প্রকৃতিতে যখন এমন অসহনীয় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে তখন দেশের রাজনীতিতেও বাক্বিতণ্ডা একে অপরের প্রতি অভিযোগ করে উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোতে দেশের আবহাওয়ার প্রচুর খবর দেওয়া হচ্ছে, মানুষকে নানাভাবে উপদেশ ও করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা আছেন তাদের গলাবাজি আর দেশ উদ্ধারের নানা চেঁচামেচিতেই। একবারো কোনো দলের নেতাদের মুখ থেকে বর্তমান অসহনীয় উত্তাপের ফলে জনজীবনের যে হাঁসফাঁস বিরাজ করছে তা নিয়ে কোনো চিন্তা ভাবনা আছে কি না সে সম্পর্কে কিছুই মিডিয়াতেও শোনা যায় না। সামনে উপজেলা নির্বাচন। বিএনপি এই নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে মাঠে তাদের বেশ কিছু নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা শেষ পর্যন্ত কী করবেন তা প্রত্যাহারের শেষ দিনই কেবল বোঝা যাবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে চলছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দলের মনোনীত প্রার্থী না থাকার সুবাদে দেখা দিয়েছে নতুনভাবে সুযোগের ‘সদ্ব্যবহার’ করার প্রচেষ্টা!

আওয়ামী লীগ আগেই সিধান্ত নিয়েছে যে- এবার থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের মনোনয়ন কিংবা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের ধারণা ছিল যে- এতে দলের যোগ্যরা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসবে। নীতিনির্ধারকরা তখন ভাবতে পারেননি যে- দলের রাজনীতিতে এখন অনেকেই আছেন যারা দল করেন কিন্তু দলের আদর্শ ধারণ করার চাইতেও নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য প্রাচীন ও মধ্যযুগে রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করার ধ্যান-ধারণা একচুলও ত্যাগ করেননি। গত কয়েক বছর থেকেই দলের অনেকেই এই ধারা নিজেদের ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেটি দেখে অন্যরাও রাজবংশের শাসন প্রতিষ্ঠায় উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। এবার তারা উপজেলা নির্বাচনে দারা-পুত্র পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, ভাই-বোন, শ্বশুরকুল কিংবা দূরের আত্মীয়কুলকেও উপজেলায় তালগাছ হিসেবে বসাতে চাচ্ছেন। সেভাবেই মনোনয়নপত্র ক্রয় এবং জমাদান করিয়েছেন। একইসঙ্গে দলের অন্য কেউ যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেন সেরকমেরও কিছু কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। বিষয়টি যখন দলের হাই-কমান্ডের নজরে পড়েছে তখন দলের সাধারণ সম্পাদক দলের সভাপতির নির্দেশনাবলে মন্ত্রী, এমপিদের ছেলে-মেয়ে, ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না বলে কয়েকবার জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী কোথাও তেমন কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে রাজি নন বলেই খবরে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় নাম ধরে ধরে কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। প্রায় সকলেই এখন এ ধরনের নির্দেশ মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন। কেউ কেউ এ-ও দাবি করেছেন যে- জনগণের ইচ্ছাতেই তিনি নির্বাচন করছেন! অন্যেরাও তাদের মতো করেই উত্তর দিয়েছেন। সব উত্তরেরই এক কথা, দীর্ঘদিন ধরে দল করছেন, নির্বাচন করার চেষ্টা অতীতে করেছেন মনোনয়ন পাননি, এইবার মনোনয়ন নেওয়ার যেহেতু দরকার নেই তাই নির্বাচন তাকে করতেই হবে। প্রার্থীদের কথা শুনে মনে হয় তারা দল করেছেন একটা কিছু হওয়ার জন্য। এখন সম্ভবত ‘সুবর্ণ’ সুযোগ এসেছে কিছু একটা হওয়ার, করার। তাই তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, করবেন। দলীয় শৃঙ্খলা তাতে ভঙ্গ হলেও তারা তাতে খুব একটা ভীত বলে মনে হলো না। তাদের খুঁটির জোর কোথায় সেটি খুঁজতে গেলে নানাজনের নানা জায়গায় শক্তি রয়েছে। অথচ এরাই দলীয় সভানেত্রীর কোনো সভায় উপস্থিত হলে সভানেত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশে তারা কতটা ব্যস্ত হয়ে পড়েন তা সকলেরই জানা বিষয়। কিন্তু দেশের রাজনীতিতে যখন শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে চারদিক থেকে চেপে ধরার চেষ্টা হয়ে থাকে তখন তিনি প্রতিবারই নানা কৌশলে বিরোধী পক্ষের সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়ে আসছেন। দলকে রাজনৈতিকভাবেই কৌশল নির্ধারণ এবং মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এসব যদি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা করতে না জানতেন তাহলে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বলে কোনো সংগঠনের নাম অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে যেত। আওয়ামী বিরোধী শক্তি ’৭৫ নয় ১৯৭২ সাল থেকেই পরিকল্পিতভাবে অগ্রসর হতে থাকে। তারা কতটা হিংস্র সেটির প্রমাণ ’৭৫-এ চরমভাবে দেখিয়েছে। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত করার সকল কলাকৌশল তাদের হাতে রেখেই ১৯৭৮, ৭৯, ৮১, ৮৬, ৯১, ২০০১ সালের নির্বাচনে ঘটানো হয়েছে। অন্য নির্বাচনগুলোতেও সাম্প্রদায়িক উগ্র ডান, বাম সকল শক্তিকে নিয়ে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করতে নির্বাচন বর্জনের সস্তা স্লোগানের রাজনীতি চালু করা হয়েছে। শেখ হাসিনার জীবন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাও কম হয়নি। সেটি করা সম্ভব হলে এখন যারা উঠতে বসতে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার নাম জপতে ব্যাকুল হয়ে আছেন তাদের আদৌ খুঁজে পাওয়া যেতো কি না সন্দেহ আছে। এখন তারা শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করতে কুণ্ঠাবোধ করছেন না। শেখ হাসিনা যখন থাকবেন না তখন এই সব ‘রাজ-পরিবার’ কোথায় যাবেন তা সহজে অনুমেয়। শেখ হাসিনা চাচ্ছেন উপজেলা নির্বাচনটি প্রভাব ও কলঙ্কমুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হোক। মন্ত্রী, এমপিরা এই নির্বাচনের ধারে কাছে ঘেঁষলেও নির্বাচনটি বিতর্কিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। তখন বিরোধীদের অভিযোগই সত্য প্রমাণিত হবে। দলকে সব সময় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেই জনগণের আস্থা অর্জন করতে হয়। সেটিই হয়তো তিনি চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজবংশ প্রতিষ্ঠাকারীরা শেখ হাসিনার দলীয় অবস্থানের মূল্য দিতে জানার কথা নয়। রাজনীতিতে রাজনৈতিক এলিমেন্ট (উপাদান) না হলে যা হওয়ার তাই-ই এখন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ এখন এদের নিয়ে কী করবে?

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী: ইতিহাসবিদ, কলাম লেখক। সাবেক অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :