জয় দেখছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:৪৬ | প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:৫৮

জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের আট ব্যাটসম্যান সাজঘরে। সর্বশেষ ইনিংসের ৪৪তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মাশরাফি বিন মুর্তজার হাতে ধরা হাসান আলী। এর আগে ৪১তম ওভারে মাহমুদউল্লাহর বলে স্ট্যাম্পিং হয়েছেন ইমাম-উল-হক। ৮৩ রান করেছেন পাকিস্তানের এই ওপেনার। এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের দেয়া ২৪০ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করছে পাকিস্তান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪৪ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮২ রান।

এদিন পাকিস্তান ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট শিকার করে বাংলাদেশ। শুরুতেই ওপেনার ফখর জামানকে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওভারের পঞ্চম বলে রুবেল হোসেনের হাতে ধরা পড়েন এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসেই উইকেট শিকার করেন ‘কাটার মাস্টার’। ওভারের দ্বিতীয় বলে বাবর আজমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সরফরাজ আহমেদকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ইমাম-উল-হক ও শোয়েব মালিক। দুজনে মিলে ৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। রুবেল হোসেনের করা ইনিংসের ২১তম ওভারের প্রথম বলটি মিডউইকেট দিয়ে বের করে দিতে চেয়েছিলেন শোয়েব মালিক। কিন্তু সেটি পারেননি। শর্ট মিডউইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজা বাতাসে শরীর ভাসিয়ে দিয়ে ক্যাচটি লুফে নেন।

ইনিংসের ২৬তম ওভারে সৌম্য সরকারের বাউন্সার ডেলিভারিতে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন শাদব খান। দলীয় ৯৪ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটেছিল পাকিস্তানের। এরপর ইমাম-উল-হক ও আসিফ আলী জুটি বাংলাদেশের জন্য ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের ৪০তম ওভারে স্ট্যাম্পিং হন আসিফ আলী। ইমাম-উল-হক ও আসিফ আলী ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।

আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে যারা জিতবে তারা ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ।

এদিন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এক রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। ৯৯ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। ওয়ানডেতে এটি তার ৩০তম হাফ সেঞ্চুরি। ৬০ রান করেন মোহাম্মদ মিথুন। ওয়ানডেতে এটি তার দ্বিতীয় অর্ধশত। অন্যদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ২৫ রান। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে জুনায়েদ খান নয় ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে চারটি উইকেট শিকার করেন। অন্যদের মরেধ্য শাহীন শাহ আফ্রিদি ২টি, হাসান আলী ২টি ও শাদব খান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬ সেপ্টেম্বর/এসইউএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :