কোটালীপাড়ায় ৪২ স্কুলে সততা স্টোর চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৬

একযোগে গোপালঞ্জের কোটালীপাড়ার ৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চালু হলো আলোচিত ‘‘সততা স্টোর’। সততা, মানবতা ও পরিচ্ছন্নতা চর্চার লক্ষ্যে এলজিএসপি-৩ এর অর্থায়নে এসব বিদ্যালয়ে সততা স্টোর উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ওয়েস্ট কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন ও উত্তর কোটালীপাড়া রামমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে এই কার‌্যক্রম শুরু হয়। সততা, মানবতা ও পরিচ্ছন্নতা চর্চার লক্ষ্যে ‘বিবেকের জাগরণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান।

আগামীতে জেলার অন্যসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও এ কর্মসূচি চালু করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। এসময় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার সামগ্রী এবং ফাস্ট এইড বক্সও বিতরণ করা হয়।

সততার নিদর্শন হিসেবে এসব স্টোরে কোন বিক্রেতা থাকবে না। ক্রয়কৃত পণ্যের টাকা সততা স্টোরের বাক্সে রেখে যাবে শিক্ষার্থীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার শিক্ষার্থীদের বাল্যবিবাহ ও মাদককে না ও মন দিয়ে পড়াশোনা করার শপথবাক্য পাঠ করান। শিক্ষার্থীরাও বাল্যবিবাহ ও মাদক পরিহারে অঙ্গীকার করেন।

জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে যাবতীয় অন্যায়কে না বলার আহবান জানিয়ে বলেছেন, তোমাদের বিবেককে শক্ত করতে হবে। খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। ভাল মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে।

এদিকে প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর চালু হওয়ায় খুশি শিক্ষার্থীরাও। উত্তর কোটালীপাড়া রামমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ শ্রেণির ছাত্রী জয় মণ্ডল পুতুল ও সামিয়া খানম বলেন, তাদের স্কুলে এসব কার্যক্রম চালুর ফলে তারা ভাল মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন। স্কুল থেকে সততা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শিখতে পারবেন। যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে আসবে।

কোনো পরিবার বাল্যবিবাহের উদ্যোগ নিলে প্রশাসনের সহযোগিতা পেতে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, আমরা এখন দোকানে না গিয়ে এই স্টোর থেকে বই, খাতা, কলমসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করতে পারব। এতে আমাদের অনেক সময় বাঁচবে।

সামিয়া আক্তার নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। আমাদের বিদ্যালয় আজ থেকে আমরাই পরিষ্কার করব। বিদ্যালয় পরিষ্কার থাকলে আমাদের মন-মানসিকতাও পরিষ্কার হবে।

এই উদ্যোগের প্রশংসা করে কুশলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল বলেন, এলজিএসপি-৩ এর অর্থায়নে উপজেলা প্রশাসন ‘সততা স্টোর’ স্থাপনের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সৎ জাতি গঠন করতে হলে আমাদের স্কুল পর্যায় থেকে সততার শিক্ষা শুরু করতে হবে।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, টেকসই জাতি গঠন করতে হলে বিবেকের জাগরণ ঘটাতে হবে। আর এই ‘বিবেকের জাগরণ’ ঘটানোর উদ্দেশে আমরা উপজেলার প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘সততা স্টোর’ স্থাপন করেছি।

(ঢাকাটাইমস/০৪ফেব্রুয়ারি/বিইউ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :