ছাত্রদলের ভাইয়েরা কীভাবে ‘তারুণ্য’ ধরে রাখেন?

সোহেল রহমান
| আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০০ | প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৫৮

আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগে ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্র হিসাবে ভর্তি হই। হলে উঠে কিছুদিনের মধ্যে আকরাম ভাইয়ের ( ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু) সঙ্গে পরিচয়। তিনি ছিলেন হলে আমার এক ব্যাচ সিনিয়র ভাই।

প্রথম দিন থেকেই আমি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হলেও আকরাম ভাইয়ের সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক বরাবরই ভালো। ২০০১ সালে ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে হল থেকে এক প্রকার বিতাড়িত হই। সে সময় আমার দ্বিতীয় বর্ষও শেষ হয়নি। এরপর প্রায় পাঁচ বছর আবাসিক ছাত্রত্ব বহাল থাকলেও একদিনের জন্যও হলে যেতে পারিনি, সহাবস্থান তো দূরের কথা।

২০০৫ সালে এমএসএস শেষ করে সাংবাদিকতা পেশায় ছিলাম আরও প্রায় ছয় বছর। সাংবাদিকতার ইস্তফা দিয়ে শিক্ষকতায় আসার আট বছর পূর্ণ হবে মাস খানেক পর।

দুই দশক আগে যাকে হলে বড় ভাই হিসাবে পেয়েছিলাম তিনি (আকরাম) এখনও দেশের অন্যতম ছাত্র সংগঠনের নেতা। সভাপতি রাজিব ভাই (রাজিব আহসান) আরও কয়েক বছরের সিনিয়র। প্রায় ৯ বছর পর সংগঠনটি ঢাবিতে মিছিল সমাবেশ করছে। রাজনীতির জন্য অবশ্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ। মিছিলে আরও কয়েক জনকে দেখলাম যারা হল কিংবা কলেজে আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই।

বড় ভাইদের দেখে আজকে নতুন করে প্রেরণা লাভ করলাম, বয়সের ফালতু (!) গাণিতিক হিসাবকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে তারুণ্যকে (!) ধরে রাখা যায়। অভিনন্দন বড় ভাইরা। বয়সকে পাত্তা না দিয়ে এগিয়ে যান।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :