বরিশালের স্কুলে দুদকের নামে চিঠি, জানে না কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৫

কোচিং বাণিজ্য ও শিক্ষার্থীদের সাথে নানা অনিয়ম বন্ধে বরিশালের বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিঠি যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের নামে। এজন্য স্কুলগুলির শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে এমন কোনও চিঠির খবর জানে না দুদক।

জানা যায়, বরিশাল নগরের বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বরাবর দুদকের পরিচয়ে চিঠি আসে। ডাকযোগে পাঠানো চিঠিতে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ, ভর্তির সময় বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

এদিকে চিঠিগুলো পাওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ কোচিংবাজ শিক্ষকরা দুদক ওই চিঠি নিয়ে ছুটছেন দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ে। দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের শরনাপন্ন হচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, বরিশালের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি জেলা স্কুল, বরিশাল উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকগণ দুদকের নামে দেয়া ওই চিঠি পেয়েছেন।

বরিশাল উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর দেয়া একটি চিঠিতে দেখা যায়, চিঠি প্রেরক হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বন্ধ করা ও সরকার নির্ধারিত টাকার অধিক বার্ষিক ভর্তি ফি গ্রহণ প্রসঙ্গে দেয়া চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি স্মারকও রয়েছে। দুদকের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত) কর্মকর্তা নামের একজনের স্বাক্ষরও রয়েছে ওই চিঠিতে। এর অনুলিপি দেয়া রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও শিক্ষা অফিসসহ ছয়টি দপ্তরে।

উদয়ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ব্রাদার শ্যামুয়েল সবুজ বালা বলেন, ‘আমি এই বিদ্যালয়ে নতুন এসেছি। তাই পূর্বে কি হয়েছে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। বরিশালের ইতিহাসে প্রথম আমিই উদয়ন স্কুলে গত জানুয়ারী মাসে বিশেষ ক্লাস বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু অভিভাবকদের অনুরোধের কারনে ফেব্রুয়ারি মাসে এই কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে হয়েছে। তবে চিঠি পাওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে পুনরায় বিশেষ ক্লাব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।

দুদক পরিচয়ে চিঠি পেয়ে দুদক বরিশাল বিভাগীয় পরিচালকের সঙ্গে দেখা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুদক কর্মকর্তা জানিয়েছেন এ ধরনের কোনও চিঠি তারা দেননি। তাই ভুয়া

চিঠি দিয়ে আমাদের হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমাদের স্কুলের পক্ষ থেকে দুদককে লিখিত আবেদন করেছি।’

বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের একটি চিঠি আমরাও পেয়েছি। চিঠিতে বিশেষ ক্লাস বন্ধ ও সরকারি আয় ব্যয়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারাই বিষয়টি দেখছেন।’

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. জুলফিকার আলী বলেন, ‘বিভিন্ন স্কুলে দুদকের নাম ব্যবহার করে চিঠি প্রেরনের বিষয়টি এরই মধ্যে অবগত হয়েছি। ওইসব চিঠি দুদক থেকে দেয়া হয়নি। কারা দিয়েছে তাও বলা যাচ্ছে না।’ এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন দুদক এর এই কর্মকর্তা।

ঢাকাটাইমস/২৮ফেব্রুয়ারি/এসএস/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :