বরিশালে মাদক মামলায় আ.লীগ নেতা কারাগারে
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিদুর রহমান মনির মোল্লাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার দুপুরে মনির মোল্লা বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক শামীম আহমেদ তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে মনির মোল্লাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাবার ছবি তুলতে গেলে তার সহযোগীদের বাধার মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। এমনকি আদালত চত্বরে উচ্চস্বরে সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন মনির মোল্লার সহযোগীরা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা গেছে, ‘২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ওজোপাডিকো গেটের সামনে থেকে জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে ৫২টি ইয়াবাসহ আটক করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওজোপাডিকোর রেস্টহাউসে তারই কক্ষ থেকে দুই শত ইয়াবাসহ কামরুল ইসলাম ও এক শত ইয়াবাসহ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে আটক করে তারা।
একই সময় রেস্টহাউজে মনির মোল্লার বিছানার নিচ থেকে আরো একশ পিসসহ মোট ৪৫২টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ওই সময় মনির মোল্লা ঘটনাস্থলে থাকলেও তাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে আদালতের বিচারক স্বপ্রণদিত হয়ে এ বিষয়ে তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে এই ঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
তার দেয়া দুটি মাদক মামলার চার্জশিটে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মনির মোল্লাকে মাদক কারবারি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে আসামি মনির মোল্লা আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পরে রবিবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচার তাকে জেলে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
(ঢাকাটাইমস/২৮এপ্রিল/এলএ)