গাইবান্ধায় মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ স্বজনদের

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০১৯, ১৭:১৬

গাইবান্ধার শহরের লেদমিস্ত্রি রিয়াদ হোসেনকে রাজধানীর ভাসমান হেরোইন ব্যবসায়ী হিসেবে আদালতে পাঠায় ওয়ারী থানা পুলিশ। বর্তমানে অভিযুক্ত রিয়াদ কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। এ ঘটনায় রিয়াদের বড়ভাই জাবেদ হোসেন দাবি করেন, ওয়ারী থানার পুলিশ তার ভাইকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

রবিবার বেলা ১১টায় গাইবান্ধা শহরের ভিএইড রোডের সৈয়দ কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান ও বাদী এসআই রঞ্জিত সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তার স্বজনরা।

সংবাদ সম্মেলনে জাভেদ বলেন, ‘আমার ছোট ভাই রিয়াদ হোসেন ঢাকায় তার ব্যবসায়িক মালামাল আনতে গেলে ঢাকার ওয়ারী থানার পুলিশ তাকে আটক করে। এ ঘটনায় প্রথমে পুলিশ জানায়, তাকে চুরির ঘটনায় আটক করা হয়েছে। পরে রিয়াদের নামে মামলায় দেখানো হয়- রিয়াদকে ঢাকার ভাসমান হেরোইন ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রিয়াদের সঙ্গে দেখা করে জেনেছি, ওয়ারী থানার ওসি আজিজুর রহমান টাকার জন্য তাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন। এসময় রিয়াদ ওসির কাছে বলেছিল, আমি গরিব মানুষ, টাকা কোথায় পাব। তারপরও ছাড় দেওয়া হয়নি রিয়াদকে। মিথ্যা একটি মামলায় ফাঁসানো হয়েছে আমার ছোট ভাইকে।’

রিয়াদের বড়ভাই জাভেদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিএমপির পুলিশ কমিশনার ও ওয়ারী জোনের ডিসি বরাবর তিনটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে- যার তদন্ত চলছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রিয়াদ হোসেন পেশায় একজন লেদমিস্ত্রি। রিয়াদ গাইবান্ধা পৌর এলাকার পূর্বপাড়ার মৃত মিজাম উদ্দিনের ছেলে। গত ৯ মে তিনি ওয়ার্কসপের মালামাল ক্রয় করতে ঢাকার জয়কালি মন্দির সংলগ্ন হোটেল ওসমানিয়ায় ওঠেন। ১৩ মে বিকালে তার স্ত্রী ববি বেগমের সাথে মোবাইলফোনে কথা বলার পর থেকে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাত ৯টার পর রিয়াদের চাচাতো শ্যালক সেলিম রিয়াদের মোবাইল নম্বরে কল করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ারী থানার একজন রিয়াদের মোবাইলটি রিসিভ করে বলেন, রিয়াদকে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাভেদ বলেন, ‘১৪ মে দুপুরে আমাকে ওয়ারী থানার এসআই রঞ্জিত সরকার কল দিয়ে বলেন, রিয়াদ এখন আমাদের থানায় চুরি মামলায় আটক আছে। পরদিন ১৫ মে দুপুরে ওয়ারী থানা থেকে আমার ভাইকে কোর্টের গারদখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানতে পারি, আমার ভাইকে চুরির মামলা না দিয়ে ভাসমান মাদক ব্যবসায়ী দেখিয়ে আদালতে মামলা উপস্থাপন করা হয়। টাকা না পেয়ে পুলিশ এই মিথ্যা মাদক মামলায় আমার ভাইকে ফাঁসিয়েছে।’

পুলিশের এ অন্যায়ের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে জাভেদ হোসেন বলেন, ‘ওয়ারী থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, ফোন রেকর্ড ও ফোন কল যাচাই করলে ওয়ারী থানার দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি রিয়াদের অসহায় পরিবারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সুষ্ঠু বিচার পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রিয়াদ হোসেনের স্ত্রী ববি বেগম, রিয়াদের শ্বশুর আ. বাকী ও রিয়াদের তিন কন্যা শিশু জান্নাত, জোনাকী ও জ্যোতি।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :