পাল্টে গেছে মৌলভীবাজার পাসপোর্ট অফিসের চিত্র

মাহবুবুর রহমান রাহেল, মৌলভীবাজার
  প্রকাশিত : ০৭ জুলাই ২০১৯, ০৯:২৮
অ- অ+

এক সময়ে দালালদের হাতে জিম্মি থাকা মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের চিত্র এখন পাল্টে যেতে শুরু করেছে। মাত্র কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় বর্তমানে পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে দালালদের দৌরাত্ম। পাশাপাশি বেড়েছে সাধারণ গ্রাহক সেবার মান।

মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সহকারী পরিচালক হিসেবে শামীম আহমেদ যোগদানের পর থেকে এ অফিসের চিত্র পাল্টাতে থাকে বলে জানান স্থানীয়রা। পাসপোর্ট অফিসের মূল ফটক থেকে শুরু করে অফিসের সব জায়গায় লাগানো আছে একটি করে লিফলেট। এতে লেখা রয়েছে ‘অফিসের কেউ যদি আপনার নিকট অর্থ বা অবৈধ কিছু দাবি করে তবে সাথে সাথে সহকারী পরিচালককে অবহিত করুন।’ নিচে লেখা রয়েছে সহকারী পরিচালকের রুম নম্বর ও মোবাইল নম্বর।

সরেজমিনে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কথা হয় পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ গ্রাহক ও অফিস স্টাফদের সাথে। এ সময় গ্রাহকেরা পাসপোর্ট অফিসের পরিবর্তনের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সহকারী পরিচালকের রুমের দরজায় লেখা রয়েছে ‘সহকারী পরিচালকের কক্ষে প্রবেশের কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। এই অফিস আপনাদের।’

অফিসের নোটিশ বোর্ডে পাসপোর্টের ফরম পূরণের নমুনা কপি ও নিয়মাবলী লাগানো হয়েছে। বাইরের জেনারেটর রুমের দেয়ালে সিটিজেন চার্টার লাগানো হয়েছে। এতে পাসপোর্ট করতে করণীয় সব ধরনের তথ্য রয়েছে। ফরম পূরণের নিয়মাবলী, যে সমস্ত ব্যক্তি সত্যায়িত করতে পারবেন তাদের পদাবলি, কোন কোন ব্যাংকে কত টাকা জমা দেবেন সেই তথ্যও দেয়া হয়েছে।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক শামীম আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যেকোনো মানুষ এসে সঠিকভাবে যেন তাদের পাসপোর্ট করিয়ে নিতে পারে সেজন্য আমার রুম সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছি। এছাড়াও কেউ আমার স্টাফদের দ্বারা হয়রানির শিকার না হওয়ার জন্য অফিসের মূল ফটক থেকে শুরু করে সব জায়গায় সতর্কতামূলক লিফলেট লাগিয়েছি।’

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করে গ্রাহকরা সহজেই তাদের আবেদনপত্র জমা দিতে পারছে। যার ফলে গ্রাহকরা বিভিন্ন ধরনের হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছে।’

শামীম আহমেদ বলেন, ‘ বর্তমানে মৌলভীবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দালালমুক্ত। আমরা দালালদের চিহ্নিত করেছি এবং তাদের দেখলেই তাড়িয়ে দিই।’ পাসপোর্ট করতে দালালের শরণাপন্ন না হতে তিনি সবার প্রতি অনুরোধ করেন।

অফিসে কর্মরত গেইট কিপার আনসার সদস্য রানু দেবনাথ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি দালালদের চিহ্নিত করেছি। তাদের গেইটের আশেপাশে দেখলে তাড়িয়ে দিই এবং এরা ভেতরে ঢোকার কোনো সাহস পায় না।’

(ঢাকাটাইমস/০৭জুলাই/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন হজমের সমস্যা
সব দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব
মে দিবস ২০২৫-এ বয়ে আনুক কর্মজীবীদের আশার আলো
৩২ বছর পর ৩১ জুলাই হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা