‘নদী ভাঙনের প্রধান কারণ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন’

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, নদী ভাঙন শুধু সরকারের পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়। নদী ভাঙনের প্রধান কারণ হল অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। তাই অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে জনগনকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে।

রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের নজরদৌলত গ্রামে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা ভাটির দেশের লোক। যখন আমাদের প্রতিবেশী দেশের পাহাড় থেকে ঢল নামতে থাকে তখন আমাদের এখানে নদীর পাড়ের ঘর-বাড়ি নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়।

নদী ভাঙন রোধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ হলো যে সমস্ত এলাকায় নদী ভাঙন আছে সেখানে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে ভাঙন রোধ করা হবে।

‘বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি। কিন্তু আপনাদেরকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। আজকে বলে গেলেই কালকে থেকে কাজ শুরু হবে না। শুরু না হওয়ার কারণে হলো একেক নদীর একেক গতিবিধি আছে। সব নদী এক ধরনের না। এজন্য আমাদেরকে সময় দিতে হবে।’

পরে তিনি উপজেলার কেদারখোলা, বাইশমৌজা, চরলাপাং, সাহেবনগর ও মানিক নগরসহ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। এছাড়া বড়িকান্দি হয়ে ধরাভাঙ্গা এমপি বাঁধ পর্যন্ত মেঘনা নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকাও তিনি পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/ইএস