বাতের ব্যথা আটকাতে অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:২৭ | প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:১৯

বয়স একটু বেশির দিকে গেলেই নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। সেইসময়ে যেসব সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম হাড়ের জয়েন্টে বা অস্থিসন্ধির ব্যথা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অস্থিসন্ধির সমস্যা আগের মানুষদের তুলনায় আধুনিক সমাজে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মূল কারণ জীবনযাপনের পরিবর্তন। তাই এই ব্যথা প্রতিরোধে আধুনিক জীবনযাপনের বেশ কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।

আগেকার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রচুর পরিশ্রম করতেন। এছাড়া আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে তাদের কায়িক পরিশ্রম করতে হতো অনেক। এসব কাজ করতে গেলে শরীর ও পায়ের ওপর চাপ পড়তো। যা অনেকটা ব্যায়ামের কাজ করত। যার ফলে এসব সমস্যা তাদের খুব একটা মোকাবেলা করতে হতো না।

কিন্তু আধুনিক জীবনে রান্নাঘর থেকে শুরু করে সবখানে প্রযুক্তির ছড়াছড়ি। কষ্ট করে তেমন কোনো কাজই করতে হয় না। আমাদের শরীরের প্রতিটি সন্ধিতে আছে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামের এক তরল, যে সন্ধির অন্যতম প্রধান উপাদান কার্টিলেজকে পুষ্টি জোগায়৷ সন্ধি পুরোপুরি সচল না থাকলে তার ওপর যতটা চাপ এসে পড়ার কথা, তা না পড়লে এই তরলের পরিমাণ কমতে থাকে৷ শুরু হয় সন্ধির ক্ষয়৷ কাজেই হাঁটু বা কোমর যখন ১৮০ ডিগ্রির বদলে মোটে ৯০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরাফেরা করা শুরু করে। তখন বিপদ দেখা দেয়।

বিপদ আছে আরও৷ ২০১৪ সালে ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজি’তে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানান যে, যারা একবার মাটিতে বসে গেলে হাত, কনুই বা পায়ের সাহায্য ছাড়া উঠে দাঁড়াতে পারেন না, যাকে বলে সিটিং–রাইজিং টেস্ট, তাতে রীতিমতো ফেল করেন তারা। তাদের সার্বিক স্বাস্থ্যও খারাপ হতে থাকে৷

হাঁটুর হাড় যথাস্থানে বসে থাকার মূলে আছে তার চারপাশের অসংখ্য ছোট–বড় পেশি ও কার্টিলেজের নির্ভুল গাণিতিক টান৷ ঠিক দড়ি টানাটানি খেলার মতো চার দিকের সুষম টানে হাঁটুর হাড় বসে থাকে যথাস্থানে৷ ফিটনেস ঠিক থাকলে এই টানও ঠিক থাকে৷ কিন্তু আনফিট শরীর নিয়ে যে কাজ কখনও করেন না বা ন’মাসে ছ’মাসে করেন, তা নিয়মিত করতে শুরু করলে, উবু হয়ে বসতে শুরু করলে, টানের হেরফের হয়ে কার্টিলেজের ক্ষয় শুরু হতে পারে বা আগে থেকে ক্ষয় শুরু হলে বাড়তে পারে তার প্রকোপ৷ প্রথম দিকে তাতে ব্যথা–বেদনা খুব একটা থাকে না৷ কিন্তু এই ক্ষয় বাড়তে বাড়তে এক সময় তার হাত ধরেই সূত্রপাত হয় অস্টিওআর্থ্রাইটিসের, যা এক বার শুরু হয়ে গেলে, তাকে আর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না৷

কাজেই যদি উবু হয়ে বসার অভ্যাস মোটে না থাকে, হঠাৎ করে সে চেষ্টা না করে আগে পায়ের পেশিকে মজবুত করুন, যাতে এই চাপ সে নিতে পারে৷ সাধারণ ব্যায়ামের পাশাপাশি কোমর ও পায়ের পেশি শক্ত করার ব্যায়াম করুন৷

থাই ও পায়ের ডিমের পেশি মজবুত হয়ে গেলে অল্প করে বিভিন্ন ধরনের স্কোয়াট এক্সারসাইজ করতে করতে এক সময় ডিপ স্কোয়াটিং, অর্থাৎ টয়লেটে যে ভাবে উবু হয়ে বসতে হয়, তাও করতে পারবেন আরামসে৷ তার ফলে হাঁটুর পাশাপাশি কোমরের নমনীয়তা বাড়বে৷ কমবে আর্থ্রাইটিসের আশঙ্কা৷

ঢাকা টাইমস/১১সেপ্টেম্বর/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৬ জন

কিডনি নষ্ট হচ্ছে গোপনেই! যেসব লক্ষণ দেখলে মোটেই অবহেলা নয়

দেশে ‘লং কোভিড’ নিয়ে বড় পর্যায়ের গবেষণার তাগিদ

দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানতে জরিপ চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ: প্রতিরোধে প্রয়োজন দুই বাহকের বিয়ে বর্জন

শিবনারায়ণ দাশের চোখে আলো দেখছেন মশিউর-আবুল কালাম

মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী

বিএমডিসি ছাড়া ‘ভুল চিকিৎসা’ বলার অধিকার কারো নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

নারী মাদকসেবীদের চিকিৎসায় দশ বছরে আহ্ছানিয়া মিশন

সুস্থ আছেন জোড়া মাথা আলাদা করা দুই শিশু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :