পর্দা উঠলো মুজিববর্ষের বইমেলার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৫৫ | প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:১৬

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি ঘিরে যে প্রাণের সম্মিলনের জন্য বাঙালি সারবছরের অপেক্ষায় থাকে সেই অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার বিকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলার’ উদ্বোধন করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী বই মেলার পর্দা উঠলো।

মেলা উদ্বোধনের আগে এবছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কারপ্রাপ্তদের হাতে সম্মানান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাংলা একাডেমি থেকে বঙ্গবন্ধুর লেখা তৃতীয় স্মৃতিকথা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থের উম্মেচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলা জাতির পিতার নামে উৎসর্গ করার জন্য বাংলা একাডেমিকে অভিনন্দন জানান।

এবারের বই মেলার থিম হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারের বইমেলা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হচ্ছে। মেলার বিন্যাসের মাধ্যমে মুজিববর্ষের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সে অনুযায়ী এবছর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণটি ‘শিকড়’, ‘সংগ্রাম’, ‘মুক্তি’ ও ‘অর্জন’ এ চারটি নামে নামকরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠান মঞ্চের আলোচনার বিষয়ও হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। প্রতিদিনের মেলা মঞ্চের আলোচনা-সেমিনার, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, গান, আবৃত্তি, নৃত্যসহ সবকিছুই আবর্তিত হবে বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে।

এবারের বইমেলায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শুধু বাংলা একাডেমিই ২৬টি বই প্রকাশ করছে। এছাড়া জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আগামী দুই বছরে মোট ১০০টি বই প্রকাশ করবে একাডেমি।

এবছর বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় আট লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমবারের মতো লিটল ম্যাগ কর্নার নেওয়া হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শিশু চত্বরের আয়তনও বাড়ছে। মেলায় এবার যুক্ত হচ্ছে ফুড কোর্ট। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের দুই প্রান্তে প্রতিটি ফুড কোর্টে ২০টি করে খাবার দোকান থাকবে।

এবার একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি ইউনিট ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪টি ইউনিটসহ মোট ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এবার বইমেলায় আসা বই ‘মনিটরিং’ করতে থাকছে ‘মনিটরিং কমিটি’। মেলার নিরাপত্তায় থাকছে তিনশর বেশি সিসি ক্যামেরা। এবার দেড় হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। সেই সঙ্গে আনসার সদস্যের সংখ্যাও বেড়েছে। প্রতিটি বুক স্টলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও একাডেমির উল্টোদিকের কালী মন্দির এবং তিন নেতার মাজারের পাশ দিয়ে রাখা হয়েছে প্রবেশ ও বহির্গমন পথ রাখা হয়েছে। এছাড়া মেলা ঘিরে অস্থায়ী দোকান, হকার উচ্ছেদ, ধুলাবালূ নিয়ন্ত্রণ ও বৃষ্টি হলে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ও করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে বিশেষ ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা একাডেমি।

(ঢাকাটাইমস/০২ফেব্রুয়ারি/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

সুন্দরবনে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও করণীয় নির্ধারণে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কমিটি

উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে দেড় লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন

১ কোটি পরিবারের জন্য টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু মঙ্গলবার

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

‘গোল্ডেন রাইস-বিটি বেগুন বাণিজ্যের জন্যই করা হয়েছে’

ভোটের আগে-পরে ১৪ দিন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে আরও আলোচনা হবে, সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রী

বুধবার ১৪১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি

সপ্তাহে সাত দিন সরাসরি জেদ্দায় ফ্লাইট যাবে ইউএস-বাংলার, যাত্রা শুরু ১ আগস্ট

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :