ঠাকুরগাঁওয়ে ইটভাটা শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ইটভাটায় কর্মরত এক ট্রাক্টরশ্রমিককে হত্যার পর বাড়িতে বস্তায় ভরে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ট্রাক্টরশ্রমিকের মা এ অভিযোগ করেন।
এর আগে ভোরে বাড়ির পাশে একটি থ্রি-হুইলার (পাগলু) গাড়িতে করে ওই শ্রমিকের মরদেহ বাড়িতে ফেলে যান ইটভাটার লোকজন।
নিহত ট্রাক্টরশ্রমিক রিপন আলী (১৯) জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় দানেশ নামে এক ব্যক্তির ইট ভাটায় ট্রাক্টরশ্রমিক হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন।
ট্রাক্টর শ্রমিকের মা আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ভোরে আমার ছেলেকে হত্যার পর বস্তায় ভরে বাড়ির পাশে ফেলে গেছে। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় রিপনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে বুধবার সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় রিপন। ওইদিন সারাদিন বাড়িতে ফেরেনি সে।
তবে এটি হত্যাকাণ্ড নয়, সড়ক দুর্ঘটনায় ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছেন ইটভাটার মালিক দানেশ আলী। তিনি জানান, বুধবার গভীর রাত্রে ট্রাক্টরের খড়ি আনার সময় সদর উপজেলার ভেলাজান এলাকায় প্রতিবন্ধী স্কুলের সামনে ট্রাক্টর উল্টে খড়িতে চাপা পড়েন রিপন ও আল আমিন। দুজনকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে রিপন মারা যান। তবে কোন হাসপাতালে নেয়া হয় তা বিস্তারিত জানাতে পারেননি ইটভাটার মালিক।
রিপনের মায়ের অভিযোগ সাজানো মন্তব্য করে দানেশ আলী বলেন, তার লাশ ফেলে যাওয়া হয়নি। মারা গেছে, এ জন্য রিপনের লাশ বাড়িতে রেখে আসা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক ইসাহাক আলী জানান, পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে। সড়ক দুর্ঘটনার মুত্যু কিনা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষেই প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।
এ ঘটনায় জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বিশ্রামপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আরেক ইটভাটা শ্রমিক আল আমিন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার জ্ঞান এখনও ফেরেনি।
(ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/কেএম/এলএ)