চাটমোহরে ‘ঋণ না নিয়েও’ খেলাপি!

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ মার্চ ২০২০, ২০:৪৩ | প্রকাশিত : ১১ মার্চ ২০২০, ২০:৩৬

পাবনার চাটমোহর উপজেলার ঝাঁকড়া গ্রামে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ (আমার বাড়ি আমার খামার) সমিতি থেকে ঋণ না নিয়েও খেলাপি হয়েছেন প্রায় ত্রিশজন সদস্য। এরই প্রতিবাদে বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদে প্রকল্প অফিসে গিয়ে মাঠকর্মী ও সমিতির ম্যানেজারের শাস্তি এবং এর প্রতিকার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী সদস্যরা। পরে উপজেলা সমন্বয়কারী খলিলুর রহমান বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিলে ফিরে যান তারা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, ২০১২ সালে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ঝাঁকড়া গ্রামে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ (বর্তমান নাম-আমার বাড়ি আমার খামার) প্রকল্পের সমিতি গঠন করে ৬০ জন সদস্যের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে ঋণ বিতরণ করা হয়। ঋণগ্রহিতারা কিস্তির টাকা নিয়মিত পরিশোধ করলেও মাঠ সহকারী আলিফ হোসাইন এবং ম্যানেজার মোজাহার হোসেন পাসবইয়ে টাকার পরিমাণ তোলেননি। টাকা নেয়ার পরেও সদস্যদের দেননি কোনো রশিদ। এছাড়া সমিতির সদস্য না হয়েও হাসানুর সরকার নামে এক ব্যক্তির নামে ভুয়া ঋণ বিতরণ দেখিয়ে অপর এক ব্যক্তিকে টাকা দেয়া হয়।

এরপর ২০১৩ এবং ২০১৬ সালে এসে আবার ওই সদস্যদের না জানিয়ে আবারও তাদের নামে অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ দেখান কর্মকর্তারা। কয়েকবছর পর ঋণ খেলাপি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন প্রায় ৩০ জন সদস্য। সপ্তাহখানেক আগে অনাদায়ী ঋণ আদায়ে খেলাপি সদস্যদের কাছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বাক্ষরিত নোটিশ গেলে বিষয়টি বুঝতে পারেন ভুক্তভোগীরা।

পরে তারা বুধবার সকালে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং বিক্ষোভ করেন।

জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুর রশীদ, জাহিদুল প্রামানিকসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, সময়মতো আমরা কিস্তি পরিশোধ করার পরেও পাসবইয়ে তোলেনি। বইগুলো তারা (মাঠ সহকারী ও ম্যানেজার) নিজেদের কাছে জমা রাখেন। দীর্ঘদিন আমাদের গ্রামে সমিতির কোনো কার্যক্রমও নেই। দ্বিতীয়বার ঋণের টাকা না নিয়েও খেলাপি তালিকায় নাম আসলো কিভাবে?’ তাদের দাবি- ‘সদস্যদের নামে টাকা তুলে তছরুপ করা হয়েছে।’

ম্যানেজার মোজাহার হোসেন বলেন, ‘প্রথম দফায় অনেকেই ঋণ নিয়ে কিস্তির টাকা ঠিকমতো দেননি। যাদের বাকি ছিল তারা সমন্বয় করে আবারও ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু কিস্তির টাকা বারবার চাওয়ার পরেও দেয়নি। এখন নোটিস পেয়ে অস্বীকার করছে।’

মাঠ সহকারী আসিফ হোসাইন বলেন, ‘দ্বিতীয়বারও সবাই ঋণ নিয়েছেন। কিস্তির টাকার জন্য বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছি। কেউ দেয়নি।’

এ ব্যাপারে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী খলিলুর রহমান বলেন, ‘ঋণ তারা অবশ্যই নিয়েছেন। অনেক সদস্য কিস্তি দেননি। তবে যেহেতু সমস্যা তৈরি হয়েছে তাই আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।’ হাসানুর সরকার নামে ওই ব্যক্তির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটা ভুলক্রমে হয়েছে। পরে সেটা ঠিক করা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এমন হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/কেএম/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :