মুজিববর্ষের উপহার: মির্জাপুরে ১০০৪ জন পেলেন সরকারি জমি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ১০০৪ জন ভূমিহীনকে খাস জমি বন্দ্যোবস্ত দিয়ে দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় পাঁচটি গ্রামকে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়। গ্রামগুলো হলো গোড়াকী, লক্ষিন্দা, জগতভাররা, চৌবাড়িয়া ও চান্দুলিয়া।
মঙ্গলবার এ উপলক্ষে মির্জাপুর উপজেলা সদর, মহেড়া, ছাওয়ালী, জামুর্কী ও লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৃথক অনুষ্ঠানে ভূমিহীনদের এসব দলিল হস্তান্তর করা হয়।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম।
এ সময় আরো ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোস্তারি কাদেরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) বজুলুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল্লাহ, মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঈনুল হক, মহেড়া ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া, জামুর্কী ইউপি চেয়ারম্যান আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল, লতিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন প্রমুখ।
খাস জমি বন্দ্যোবস্ত পেয়ে আবেগাপ্লোত হয়ে বীরঙ্গনা রবিজান বেওয়া বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে পাক বাহিনী তাদের গ্রামে আক্রমণ করে ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় তিনিসহ আরও কয়েকজন নারীকে তারা পাশবিক নির্যাতন করেন। এ কারণে স্বামী, সংসার, সমাজ থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। দেশ স্বাধীনের পর কত সরকার এলো গেল কেউ তার খোঁজ নেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। আজকে নিজের নামে বাড়ির জন্য জমি দিলেন। এখন সবাই আমাকে সম্মানের চোখে দেখে।’
এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করেন।এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঈনুল হক বলেন, ‘মুজিববর্ষ মাথায় রেখে আমরা সরেজমিনে গিয়ে প্রকৃত ভূমিহীনদের খুঁজে উপজেলার এ পাঁচ গ্রামের শতভাগ ভূমিহীনকে খাস জমি বন্দ্যোবস্ত করে দিয়েছি।’
ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/পিএল