নাটোরে হোম কোয়ারেন্টাইনে ৫২০
জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন ৫২০ জন বিদেশফেরত ব্যক্তি। তাদের স্বাস্থ্য বিধি পালনে উদ্বুদ্ধ করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চলছে মনিটরিং।
সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান জানান, ঢাকার গার্মেন্টসে কর্মরত বড়াইগ্রাম উপজেলার গুনাইহাটি গ্রামের ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরে আসেন। নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আনছারুল হক হোম কোয়ারেন্টাইনে শুক্রবার বিকালে ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের প্রাথমিক উপসর্গ দেখতে পান। শনিবার তার অবস্থার অবনতি হলে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শে ওই ব্যক্তি, তার স্ত্রী, অ্যাম্বুলেন্সচালকসহ এটেনডেন্টদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জমাদি (পিপিই) প্রদান করে তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা বা মুগদা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি ঢাকা রওনা হয়ে গেছেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ শাওন জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত নাটোরে আসা বিদেশফেরত ব্যক্তির সংখ্যা ৫২০। তাদের সবার অবস্থান হোম কোয়ারেন্টাইন বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করছেন।
নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদেরও উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলোকে সক্রিয় করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন পরিস্থিতি ছাড়াও জনসমাগম পরিহার এবং বাজারে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/এলএ)