করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা দিচ্ছেন কনিকা

বিনোদন ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল ২০২০, ০৯:১৭

শরীরে করোনার জীবানু নিয়ে লন্ডন থেকে ভারতে ফেরা, কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে একাধিক পার্টিতে অংশ নেয়া, করোনা পজিটিভ আসার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নানারকম বায়না ধরে চিকিৎসকদের বিরক্ত করা এবং ছয় বার পরীক্ষার পর করোনা নেগেটিভ আসার আগ পর্যন্ত বহু কাণ্ড ঘটিয়ে বিতর্কিত ও সমলোচিত হয়েছিলেন বলিউডের ‘বেবি ডল’ খ্যাত গায়িকা কনিকা কাপুর।

সেই সমালোচনা কিছুটা হলেও সরিয়ে এবার বোধহয় আলোচিত হওয়ার পথে তিনি। কারণ, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিজের প্লাজমা দান করতে চলছেন এই কণ্ঠশিল্পী। শুধু মুখে আগ্রহ প্রকাশ নয়, নিজের প্লাজমার নমুনা ইতোমধ্যেই লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে (KGMU) পরীক্ষার জন্য জমা দিয়েছেন কনিকা। যেহেতু কিছু দিন আগেই তার করোনা নেগেটিভ এসেছে।

কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রধান তুলিকা চন্দ্র জানান, ‘বলিউড গায়িকা কণিকা কাপুর প্লাজমা দানে আগ্রহ দেখানোয় তাকে হাসপাতালে ডাকা হয়েছিল। তিনি এসে ইতিমধ্যে রক্তের নমুনা দিয়ে গেছেন। রক্ত পরীক্ষায় যদি দেখা যায় সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে, তা হলে দুই-একদিনের মধ্যে তিনি এসে প্লাজমা ডোনেট করবেন।’

এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা তিন জনের কাছ থেকে প্লাজমা নিয়েছে লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল। তিন জনই এই হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিন প্লাজমা দাতাদের মধ্যে একজন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা কানাডার এক নারী চিকিৎসক। তবে করোনা ধরার পড়ার পর কনিকা চিকিৎসা নিয়েছেন লখনউয়ের একটি সরকারি হাসপাতালে।

লন্ডন থেকে আসার পর গত ২০ মার্চ কনিকার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। বিদেশ থেকে ফিরে সেলফ-কোয়ারানটিনে না থাকায় নানা মহল থেকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয় এই বলিউড গায়িকাকে। তার বিরুদ্ধে নানা গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। লন্ডন থেকে মুম্বাই বিমানবন্দরে নেমে স্ক্রিন টেস্টের ভয়ে তিনি নাকি টয়লেটে লুকিয়েছিলেন। পরে শরীরে করোনা নিয়ে লখনউতে একাধিক পার্টি করেন।

তবে সম্প্রতি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ উড়িয়ে দেন গায়িকা। তিনি জানান, ১১ মার্চ পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই তিনি লখনউয়ে গিয়েছিলেন। এও জানান, ডোমেস্টিক ফ্লাইটে কোনোরকম স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা ছিল না। ১৪ ও ১৫ মার্চ বন্ধুদের আমন্ত্রণে মধ্যাহ্নভোজ ও সান্ধ্যভোজে যোগ দিয়েছেন। তিনি নিজে থেকে কোনো পার্টির আয়োজন করেননি। সেসময় তার শরীরও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল। করোনার কোনো উপসর্গ ছিল না।

১৭ ও ১৮ মার্চ করোনা লক্ষণ ক্রমে দেখা দেয়ায় ১৯ মার্চ তিনি নিজে গিয়ে টেস্ট করান। ২০ মার্চ রিপোর্ট পজিটিভ জানতে পেরে নিজেই হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রায় ১৫ দিন ধরে চলে তার চিকিৎসা। এর মধ্যে ছয় বার তার করোনা টেস্ট হয়। অবশেষে তিনি করোনামুক্ত হন। ছাড়া পান হাসপাতাল থেকে। কনিকার দাবি, এর পর তিনি কোথাও বেরোননি। দুই সপ্তাহের বেশি সময় তিনি বাড়িতেই রয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/২৮এপ্রিল/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিনোদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :