নারায়ণগঞ্জে মসজিদের খতিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৮ জুন ২০২০, ২১:১০
অ- অ+
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোড ভূমিপল্লী আবাসন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আহমাদুল্লাহর বিরুদ্ধে কতিপয় লোকের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মসজিদের অনিয়মিত কয়েকজন মুসল্লির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠেছে। খতিবের ব্যাপারে মিথ্যা অভিযোগ ও এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার জুমার নামাজের আগে খতিব মাওলানা আহমাদুল্লাহর আলোচনার পর মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মহসিন মিয়া বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় জনৈক জিয়াউল হক ভুঁইয়া ও মিন্টু মসজিদে দাঁড়িয়ে সম্মিলিত মোনাজাতসহ কিছু বিষয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। এতে উপস্থিত মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ হন এবং তাদেরকে নিবৃত করেন।

মসজিদ কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বেশিরভাগ সদস্য এবং সাধারণ মুসল্লিদের অধিকাংশ খতিবের পক্ষে বলে জানা গেছে। তারা মসজিদে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে খতিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের মুসল্লিদের আমরা দীর্ঘদিন ধরে বুঝিয়ে এসেছি যে, দোয়া যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। নামাজের পর আমাদের প্রিয়নবী (সা.) বা চার খলিফার কেউ মুসল্লিদের নিয়ে সম্মিলিত দোয়া করেছেন বলে প্রমাণ নেই। এরপর মুসল্লিরা স্বপ্রণোদিত হয়েই নামাজের পর গতানুগতিক সম্মিলিত মোনাজাতের পরিবর্তে হাদিসে বর্ণিত দোয়া-দরুদ পাঠ করেন। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নামাজের পর মুসল্লিরা যার যার মতো করে দোয়া পাঠ করে আসছেন। এখন হঠাৎ কিছু লোক অজানা কারণে বিশৃঙ্খলা করছেন।

নিয়মিত মুসল্লিদের অভিযোগ, অ্যাডভোকেট মফিজুল ইসলাম এবং নুরুন্নবীসহ কয়েকজন স্থানীয়দের ইন্ধন দিচ্ছেন। তারাই মূলত কয়েকজন অনিয়মিত মুসল্লিকে খতিবের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছেন।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া জমায়েত নিষিদ্ধ হলেও ভূমিপল্লীর জাহাঙ্গীরের বাড়িতে মফিজ উকিলের নেতৃত্বে ৭/৮ জন নিয়মিত এই বিষয়ে শলা-পরামর্শ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অ্যাডভোকেট মফিজুল ইসলাম। তার দাবি, খতিব সাহেব নামাজের পর মোনাজাত না করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আপনি তো মসজিদ কমিটির সদস্য না তবুও এ ব্যাপারে আপনি কেন হস্তক্ষেপ করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কমিটির সদস্য না হলেও সমাজে থাকলে কিছু দায়িত্ব বর্তায়। তাছাড়া আমি আইনজীবী, এজন্য অনেকেই আমার কাছে আসে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি ড. খিজির হায়াত খান। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক। তিনি বলেন, ‘যারা খতিব সাহেবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাদের কাউকে নামাজি হিসেবে দেখিনি। আমরা মসজিদটিকে সবদিক থেকে একটি আদর্শ মসজিদ বানাতে চাই। কিন্তু ওই লোকেরা যাদের ধর্মীয় কোনো জ্ঞান নেই, শুধু প্রথার ওপর থাকতে চান। তারা ভাবেন, অন্যান্য মসজিদের মতো ইমাম-খতিবকে নির্দেশনা দিয়ে চালাবেন। কিন্তু আমরা খতিব সাহেবকে নিয়োগপত্রে স্পষ্ট বলে দিয়েছি, কোরআন-সুন্নাহর কথা বলবেন, এর বাইরে কিছু বলবেন না।’

সভাপতি বলেন, ‘খতিব সাহেবে দলিল-প্রমাণের ভিত্তিতে কথা বলেন, যার অনেক কিছু গতানুগতিক ধারার বাইরে। মূলত মফিজ সাহেবসহ স্থানীয় কয়েকজন এ কারণে খতিব সাহেবের পেছনে লেগেছেন। তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। শতকরা ৯৯ ভাগ মুসল্লিই খতিব সাহেবের পক্ষে। আমরা এখানে কাউকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে দেব না।’

(ঢাকাটাইমস/০৮জুন/এসএস/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ডিবির অভিযানে ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আনছারুল করিম গ্রেপ্তার
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারার সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক 
প্রথমবার আইসিসির মাসসেরা হলেন মিরাজ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা