বাজেটে বরাদ্দ অর্থ যথাসময়ে ব্যয় চায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০২০, ১৮:৫৯

বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রণীত বাজেটটি যুগোপযোগী এবং যথার্থ হয়েছে বলে মনে করেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)। সংগঠটি মনে করে, কৃষিতে যে বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে এই অর্থ যথাসময়ে নিশ্চিত করা গেলে কৃষি উৎপাদন কার্যক্রম সফল বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এতে দেশে খাদ্য ও পুষ্টির যোগান অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া এবং মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম (প্রিন্স)সহ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা রবিবার এক বিবৃতিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এসব কথা বলেন।

বাজেটকে বাংলাদেশের কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নে যুগান্তকারী, সময়পোযোগী ও বাস্তবসম্মত বাজেট হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে এ দেশের কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় রেখে কৃষিখাতে ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এবারের বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে দুই হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। করোনাকালে কৃষি যখন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে তখন দেশের কৃষকসহ আপামর জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রণীত বাজেটটি যুগোপযোগী এবং যথার্থ হয়েছে বলে কেআইবি নেতারা মনে করেন।

অর্থমন্ত্রী কৃষিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করায় করোনার সময়কালে কৃষি খাতে ভর্তুকি, সার, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ, প্রণোদনা ও সহায়তা কার্ড, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা, স্বল্প সুদ ও সহজ শর্তে বিশেষ কৃষিঋণ সুবিধা প্রদান করা সম্বব হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে সার, বীজ, কীটনাশক আমদানিতে শূন্য শুল্ক অব্যাহত রাখা হয়েছে। সেইসাথে কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বাজেটে ফসল খাতের পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন এবং উন্নয়নের জন্য উৎপাদন উপকরণের শুল্ক হ্রাস, ক্ষেত্র বিশেষে শূন্য শুল্ক আরোপের প্রস্তাব কৃষির সকল উপখাতের সুষম বিকাশে ব্যাপক ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছে।

বর্তমান বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে নয় হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। তাছাড়া কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণের জন্য ৩ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কৃষকের ধান-চালের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ধান-চালের সরকারি সংগ্রহ ও বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা আরও দুই লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। কৃষকের ঋণ প্রাপ্তি সহজ করার লক্ষ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি কৃষি রিফাইন্যান্স স্কিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া এসএমইসহ কৃষির উন্নয়নে দুই হাজার কোটি টাকার রিফাইন্যান্স স্কিম সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং অফিসারদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা

সোনার দাম কমলো ভরিতে ২১৩৯ টাকা

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর নতুন ৫টি কালেকশন বুথের উদ্বোধন

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন নুরুল ইসলাম মজুমদার

প্রিমিয়ার ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবু জাফর

সোনালী লাইফের অফিস ভাড়াকে ভবনের ক্রয়মূল্যের অগ্রিম পরিশোধ দেখানোর দাবি

ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ডিভাইস বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

পাটজাত পণ্যের বৈশ্বিক বাজারকে কাজে লাগাতে হবে: পাটমন্ত্রী

অধ্যাপক খলীলী ব্যাংক এশিয়ার বোর্ড অডিট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :