জাতিসংঘের দারিদ্র্য নির্মূল জোটে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ জুন ২০২০, ২১:৫৩

দারিদ্র্য বিমোচন ও এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সদস্য রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অন্যান্য অংশীজনদের পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করতে জাতিসংঘের দারিদ্র্য নির্মূল জোটে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়াও জাতিসংঘের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সদস্য দেশ দারিদ্র্য নির্মূলের এই জোটটিতে যোগ দিয়েছে।

বুধবার এক ভার্চুয়াল সভায় জাতিসংঘের দারিদ্র্য নির্মূল জোট গঠনের উদ্যোগ নেন সংস্থাটির সাধারণ পরিষদের সভাপতি তিজানী মোহাম্মদ বান্দে। সেখানে বাংলাদেশে হয়ে এই জোটে যোগ দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দারিদ্র্য নির্মূল জোটের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারি থেকে টেকসই পুনরুদ্ধারের জন্য জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহের পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে। এই সহযোগিতা হতে হবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে। আর তাহলেই কেবল এই প্রচেষ্টা দারিদ্র্য নির্মূলের ক্ষেত্রে পরিপূরক ভূমিকা পালন করতে পারে।’

জোটটিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ঘোষণা প্রদানকালে শেখ হাসিনা সরকারের ‘জনকেন্দ্রিক’ও ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’দারিদ্র্য বিমোচন নীতিসমূহের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার গৃহীত এই নীতিসমূহ দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্ষমতা বিনির্মাণে বিনিয়োগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, মোবাইল ব্যাংকিং ও কৃষি বিপণনসহ নানামুখী সরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী দারিদ্র্য সীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে।’

এ সময় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবে বিশেষ করে রেমিট্যান্সের স্বল্পতা ও বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়ার কারণে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের প্রণীধানযোগ্য প্রচেষ্টাসমূহের গতি কিছুটা শ্লথ হতে পারে।’

তিনি জানান, করোনা মহামারি থেকে উত্তরণ পরবর্তী সরকারি পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে দারিদ্র্য বিমোচন।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং দেশের অর্থনীতি বিশেষ করে তীব্র ঝুঁকিতে থাকা শিল্প ও কৃষিখাতের সহায়তায় শেখ হাসিনা সরকার যে ব্যাপকভিত্তিক প্রণোদনা প্যাকেজ ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তা তুলে ধরেন স্থায়ী প্রতিনিধি।

বৈশ্বিক এই মহামারি থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বেসরকারি খাতের পরিপূরক ভূমিকা পালন করা উচিত বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন বাংলাদেশি দূত।

ভার্চুয়াল এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রাষ্ট্রদূত উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা জানান, কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী বিপুল জনগোষ্ঠীকে দরিদ্রতার দিকে ঠেলে দেবে। এই মহামারির ফলে এসডিজি’র বাস্তবায়ন দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হবে; কারণ জরুরি স্বাস্থ্য সংকট মেটানোর প্রয়োজনে সম্পদকে এখাতেই প্রবাহিত করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশি দূত আশা প্রকাশ করেন, বহুপাক্ষিক পর্যায়ে এবং উন্নয়ন অংশীজনদের মাঝে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে দারিদ্র্য নির্মূলের এই জোট হতে পারে কার্যকরী একটি প্লাটফর্ম।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এনআই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :